আমাদের কাগজ ডেস্ক: আয় কমলেও গত পাঁচ বছরে বেড়েছে সম্পদের পরমিাণ। ২০১৮ সালে দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
এটি কোন শ্রমিক কিংবা দিনমজুরের গল্প নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আয়।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামার তথ্যে এমনটা জানা গেছে। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনীতিবিদ। তার বর্তমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা গত ২০১৮ সালে ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার কিছু বেশি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন শিক্ষকতা ও অন্যান্য। তার মোট বার্ষিক আয় ছিল ৩৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা। যার মধ্যে ২৭ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ টাকা আসে শিক্ষকতা থেকে। বাসাভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য খাত থেকে আসে বাদবাকি আয়।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিলকৃত হলফনামায় মোমেন পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনীতি।
তার মোট বার্ষিক আয় ২৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৬ টাকা। যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ১০ লাখ টাকা কম।
বর্তমানে মোমেনের আয়ের মধ্যে বাড়িভাড়া থেকে আসে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৪ টাকা, পেশাগত আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ব্যাংক মুনাফা থেকে আসে ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা।
দেখা যায়, আয় কমলেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।
২০১৮ সালে মোমেনের অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার কিছুটা বেশি।
যার মধ্যে ছিল নগদ ১ কোটি ৭ লাখ, ৯৩ হাজার, ৭১০ টাকা, ১৯৪৬ মার্কিন ডলার, ব্যাংকে জমাকৃত ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৮ টাকা, কোম্পানীর শেয়ার বা বন্ড ১০ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য প্রায় ৪৮ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র।
২০২৩ সালে নতুন হলফনামা অনুযায়ী মোমেনের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকারও বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এ কে আব্দুল মোমেন।