অন্যান্য ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:১৫

পুরোনো সোনা বিক্রিতে কেন ২০ শতাংশ দাম কম দেওয়া হয়?

আমাদের কাগজ ডেস্ক: দেশের বাজারে সোনার দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায়। গত ৩০ নভেম্বর সোনার দাম প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় দেশের বাজারে ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমানো হয়েছে। তারপরও ভালো মানের, অর্থাৎ হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এখন ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। দাম বাড়লেও সোনার চাহিদা কমে না। 

যাঁরা সোনার পুরোনো অলংকার বিক্রির চিন্তাভাবনা করছেন, তাঁদের জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বা বাজুস। আগে অলংকারের ওজন থেকে ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করতেন জুয়েলার্সের মালিকেরা। এখন থেকে ওজনের ১৫ শতাংশ বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছে সমিতি। একইভাবে অলংকার পরিবর্তনেও আগে ওজন থেকে ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করা হতো। সেটিও কমিয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।

তাহলে পুরোনো অলংকার বিক্রি করলে এখন মুনাফা কত দাঁড়াচ্ছে? সাধারণত পুরোনো অলংকার জুয়েলার্সে বিক্রি করতে গেলে তারা ওজন করার পর তা কোন ক্যারেটের সোনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে। তারপর অলংকারটির বর্তমান ওজন থেকে ১৫ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

ধরুন, আপনি কয়েক বছর আগে ৪৩ হাজার টাকায় ২২ ক্যারেটের এক ভরি ওজনের অলংকার কিনেছিলেন। এখন সেটি বিক্রি করতে গেলে আপনি ৭১ হাজার ৬৮১ টাকা পাবেন। তাতে ভরিতে আপনার মুনাফা হবে ২৮ হাজার ৬৮১ টাকা। ২১ ও ১৮ ক্যারেটের অলংকার হলে মুনাফা ভিন্ন হবে।

হঠাৎ করে ক্রেতাদের সুবিধা হয়, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কী, জানতে চাইলে জুয়েলার্স সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাকা সোনার দাম হিসাবে নিয়ে পুরোনো অলংকারের মূল্য নির্ধারণ করা হতো। এখন সোনার বারের হিসাব আমলে নেওয়া হবে। পাকা সোনায় বিশুদ্ধতার পরিমাণ ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ। বারের ক্ষেত্রে তা ৯৯ দশমিক ৯৯। 

ফলে পাকা সোনার চেয়ে বারের দাম ১ থেকে ২ হাজার টাকা বেশি। সে কারণেই পুরোনো অলংকারের ওজন থেকে ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য ওঠানামা, তেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী সোনার দাম একেক সময় একেক রকম হয়। মাপবিশেষে যখন যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, দেশের যেকোনো জায়গায় সে দামেই সোনা বিক্রি হয়।