জাতীয় ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৭:৫৯

পাট-চামড়াজাতসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর


নিজস্ব প্রতিবেদক 
পাট ও চামড়াজাত পণ্যসহ দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইকোনোমিক মিনিস্টার ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বের ২৩ দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের এসব নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।


২০২৫ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সব কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সেই দেশের একটি করে স্টল নিশ্চিতের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া শুধু রপ্তানি নয়, নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও মূল্য তদারকি এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, যেসব দেশে পণ্য রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়, সেসব দেশে বিকল্প কি পণ্য রপ্তানি করে ভারসাম্য আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন ট্যারিফ) দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সব কমার্শিয়াল কাউন্সিলদের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রথম ১০টি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। কোন দেশের কি পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করে রপ্তানির ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রতিটি দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যে ব্রান্ডিং করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দেশের ভাষা আয়ত্ত করার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক জোটে আছে তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে হবে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং পরিকল্পনার টার্গেট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। 

আহসানুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। দেশ থেকে এগ্রো ফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাই সাইকেল, ফার্নিচার এবং চা সহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির নতুন বাজার ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আমদানির জন্য বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। এককভাবে কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।