নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রোহিঙ্গাদের প্রথম আসতে দেয়। যখন তারা ক্ষমতায় ছিলো তারা যে সুযোগ দিয়েছিলো, সেটা কি তারা ভুলে গেছে?
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা করেছেন সেটা সারা পৃথিবী প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ সহ। তখনকার বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবিকতার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমেরিকা, রিশি সোনাক একসাথে কাজ করার কথা বলেছিলো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বার্তা দিয়েছিলেন এক সাথে কাজ করার। এখন তো তাদের সব আশায় শেষ। তারা ভেবেছিলেন বিদেশি বন্ধু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। সে আশা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আটলান্টিক ওপার থেকেও কোন বার্তা আসেনি, আবার এইদিক থেকেও কোন বার্তা আসেনি বা আসার কারণ ও নেই।
সরকার দুর্বল ও জনমত না থাকায় মিয়ানমারের বিপক্ষে কোন লিখিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। এদের মাথা ঠিক নেই। দেখে চারদিক থেকে প্রশংসা। শেখ হাসিনার সঙ্গে নিবিড় ভাবে কাজ করবে। তারা বলছে, আরে এটা তো হবার কথা না, এটা কিভাবে হবে। আরও অনেক কিছুই হবে তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলবে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ইন্ডিয়ায় কোন প্রভাব ফেলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই রেশ ইন্ডিয়াতেও গেছে। ভারতীয় সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমারের বেশ কিছু লোকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ওদের সীমান্ত রক্ষীও গেছে। ইন্ডিয়া যে মাথা ঘামাচ্ছে না, তা না। ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেওয়ালও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে আছেন। জয়শংকর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অজিত দেওয়াল তাদের সঙ্গে এর মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার মধ্যে মিয়ানমার ইস্যুটা গুরুত্ব পেয়েছে।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।