জাতীয় ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১০:১৪

চীন উন্নয়ন সহযোগী, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্তের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের আখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে তুলনা করা যায় না। তবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অগ্রগতি বজায় রাখতে প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সাথেই সদ্ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে বলে জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসার আবেদন করে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয়ই বহন করে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশ বাণিজ্য প্রসার, সন্ত্রাসদমন, জনযোগাযোগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শান্তি, নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।

দুই দেশের মানুষের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে এই সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।

বক্তৃতা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারতের জনমানুষের সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত, রাজনীতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেশনে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গের প্রশ্নের জবাব দেন।

নির্বাচন নি‌য়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল, পাশে আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবারও আমাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন আমাদের দেশে একটি উৎসব। ৭ জানুয়ারি আমাদের দেশে উৎসবের আমেজে নির্বাচন হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয় কিন্তু বরাবরই বিএনপি ও জামায়াত একে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু, বাংলাদেশের জনগণ সেসব অপচেষ্টা রুখে দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কে চিড় ধরাতে চায়। সে সব অপচেষ্টাকে বর্তমান সরকার সবসময়ই প্রতিহত করে এসেছে।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. অরবিন্দ গুপ্তের পরিচালনায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশে ভারতের পূর্বতন হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি উপস্থিত ছিলেন।