জাতীয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:১৮

সমুদ্রসীমা নির্ধার জন্য ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কোন পদক্ষেপ নেয়নি: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধার জন্য ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকারগুলো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। জাতির পিতা যেখানে রেখে গিয়েছিলেন সেখানেই পড়েছিল। বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা যে রয়েছে, সেখানে আমাদের কোন অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল ২১ টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  'দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪'- এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি পিতা বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই সাথে সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। পরবর্তীতে সেটার কার্যকর করা হয়নি।  ২১ বছর পর আমরা যখন সরকারি আছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি। তখন কাজগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ শুরু করতে হয়েছিল। আমাদের সমুদ্র সীমা যাতে নিশ্চিত হয়েছে সেজন্য জাতীসংঘে আমরা সই করে আসি।

তিনি বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ- মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি করি। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমুদ্র সীমা নির্ধারণ করে। আজকে বিশাল সমুদ্রসীম অধিকার রয়েছে, আমরা সম্ভাবনাময় একটা বিশাল অর্থনৈতিক এলাকা পেয়েছি। যে আমাদের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখতে পারবে।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টা যাতে উন্নয়নের শস্যকে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে যে সেমিনার হচ্ছে এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের  সর্বোত্তম ব্যবহার, সমুদ্রকে নিরাপদ এবং কার্যকর ভাবে পরিচালনা করতে 'দ্যা টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইমস জোন অ্যাক্ট ১৯৭৪' মূলনীতি দেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক সকল সংস্থা থেকে সহযোগিতা এবং সহায়ক হতে সকল ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক পথ সকল দেশ ব্যবহার করছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে।  কোনদিন অঞ্চলে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়নি।  আমরা এটাই চাইবো এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য পথ হিসেবে চলমান থাকবে। আমরা যেটুকু সমুদ্র অঞ্চল অর্জন করেছ,আমাদের আহরণ করা এবং আমাদের অর্থনীতিতে ব্লু ইকোনোমিক হিসেবে যে ঘোষণা দিয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে মনে করি। ইতিমধ্যে ইন্সটিটিউট গড়ে তুলেছে গবেষণার জন্য, সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সেটাই আমরা বলতে চাই। পররাষ্ট্র নীতি ধারণ করে সকলের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক রেখে আমাদের সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং ব্যবসা বাণিজ্য যাতে চলমান থাকে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সজাগ থাকবো।