জাতীয় ৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০২

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শেখ হাসিনা

‌'জাতির পিতা সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সব সময় চাইতেন বাংলাদেশের নারীরা শিক্ষা-দীক্ষা তাদের আপন স্থান করে নিবে। স্বাধীনতা পর তিনি আমাদের একটা সংবিধান দিয়েছেন। সেই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের এক, দুই, তিন, চার, এই অনুচ্ছেদ গুলোতে তিনি নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন। নারীদের চাকরি ক্ষেত্রে ১০শতাংশ কোটা নিদিষ্ট করেছেন। চাকরির ক্ষেত্রে যাতে মহিলারা সমান সুযোগ পেতে পারে। সংসদের সংক্ষরিত নারী আসন দিয়েছিলেন যাতে করে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে।

আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলনে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ডাকে এদেশের মানুষ অস্ত্র কাঁধে নিয়ে শত্রু মোকাবেলা করেছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানের শাসকরা আল বদর বাহিনী, রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আমাদের কিছু দেশীয় দালাল তারা নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে দিয়ে দিত।  দিনের পর দিন তাদের উপর পাশবিক অত্যাচার চলতো। দিনের পর দিন তাদের উপর অকট্য নির্যাতন হয়। সে নির্ধারিত মা-বোনদের উপর আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত নারীদের স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে শারীরিক, মানসিক অবস্থা ছিল সেটা আমরা নিজেরা দেখেছি। নির্যাতিত নারীদের পূর্ণবাসনের জন্য জাতির পিতা শেখ মুজিব পুনর্বাসন বোর্ড করে দেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তার, নার্স নিয়ে আসে তাদেরকে চিকিৎসা করাতে। কারণ, অনেকে তখন অন্তঃসত্ত্বা, অনেকের অবস্থা খারাপ ছিল। শারীরিক মানসিকভাবে তাদের চিকিৎসা এবং তাদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা নেন। আমার মা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক মেয়েদেরকে বিবাহ দেন। এক সাথে অনেকের বিবাহের ব্যবস্থা করে দেন। তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করতেন। যারা বিয়ে করেন তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই নির্যাতিত নারীদের বীরঙ্গনা নাম দিয়ে তাদের সম্মাননা দিয়েছেন। আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদের অবদান ভুলার নয়।