জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাট শহর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পিয়াল আহমেদ হত্যা মামলায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রুবেল ওরফে রুমেল (৩৬), ছামছুদ্দীন মণ্ডল (৬০) ও মো. শিহাব (২২)। তারা জেলা শহরের ইসলামনগর এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ছাত্রদল নেতা পিয়াল আহমেদকে লোহার রড ও বারমিজ চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকণ্ডের পর কয়েকজন আসামি পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চন্দ্রকোলা নামক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা রুবেল ওরফে রুমেল, ছামছুদ্দীন মণ্ডল ও মো. শিহাবকে বুধবার (৪ জুন) গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদেরকে জয়পুরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তিনজন আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে। এই তিনজন আসামিসহ পিয়াল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্রদল নেতা পিয়াল আহমেদের সঙ্গে নিজ এলাকার কয়েকজনের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে হামলাকারীরা গত ১২ মার্চ রাতে তার নিজ বাড়ি এলাকার পাশে রেললাইনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ওই ঘটনায় পিয়ালের বাবা বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৮ মে তাকে আবারও শহরের ইসলামনগর মহল্লার নিজ এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন হামলাকারীরা। এতে তার মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় পিয়ালের মা ইতি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।