ডেস্ক রিপোর্ট ।।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘বুলবুল’। শনিবার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। অন্যদিকে কলকাতা শহরজুড়ে শনিবার ভোররাত থেকেই বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শনিবার ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৯ নং বিপদসংকেত ও মংলা-পায়রা বন্দরে ১০ নম্বার মহবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার আকারে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যে জেলাগুলোতে দেয়া হলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত- খুলনা, বরিশাল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা। তিনি আরো জানান, বুলবুলের কারণে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস এই জেলাগুলোতে আঘাত করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে পরে ঝড়টি ১৫০ কিলোমিটার বেগে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উপকূলবর্তী খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ ১৩টি জেলায় ২ হাজার প্যাকেট করে মোট ২৬ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং প্রতি জেলায় ৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।