ডেস্ক রিপোর্ট ।।
ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' মোকাবেলায় প্রস্তুস বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এই সম্পর্কিত একটি স্ট্যাটাস বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন।
পাঠকদের সুবিধার জন্য স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
"ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল” এর পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রম।
ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল” এর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল” এর পরিস্থিতি মনিটরিং এর জন্য সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল সচল করা হয়েছে।
বিমান বাহিনী সকল এয়ার ক্রাফ্ট দুর্যোগ পরবর্তী পরিদর্শনকরণ (Reconnaissance) ও যেকোন জরুরী মিশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিমান বাহিনীর একটি অগ্রগামী দূর্যোগ মোকাবেলা দল বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
এ ছাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য কার্যক্রম সমূহ নিম্মরূপ :
ক। ০৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হতে ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল” এর পরিস্থিতি মনিটরিং এর জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে “প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সেল” সার্বক্ষনিক সচল করা হয়েছে।
খ। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অনুরোধে যশোর থেকে সেনাবাহিনীর ১২০ সদস্যের ১টি উদ্ধারকারী দল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দল ও যানবাহন নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। তারা প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরে সহায়তা করবেন।
গ। সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশন কর্তৃক স্থানীয় সিভিল প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং যেকোন প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনী সদস্যরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী কর্তৃক দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তার জন্য ঔষধসামগ্রী, খাবার পানি, শুকনো খাবার জরুরী প্রয়োজনে বিতরনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতদসংক্রান্ত যোগাযোগের জন্য ২৪ ঘন্টা মনিটরিং সেল চালু রয়েছে।
ঘ। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড/ডিভিশন সমূহ যেকোন জরুরী সহায়তার জন্য বেসরকারি প্রশাসনের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ অক্ষুন্ন রেখেছে। বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প এর ক্ষয়ক্ষতি রোধে জরুরী সহায়তার জন্য মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঙ। ঘুর্ণিঝড় সাইক্লোনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৭ টি জাহাজ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। নৌবাহিনীর ০৫ টি জাহাজ (বিএনএস কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ্মা ও এলসিভিপি ০১১, ০১৩) দুর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহনে জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ০৪ টি কন্টিনজেন্ট ও অনেকগুলো চিকিৎসা সহায়তাকারী দল মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনী তিন স্তর বিশিষ্ঠ উদ্ধার তৎপরতা পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছে। একই সাথে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করছে।
চ। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে স্থানীয় জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে সাতক্ষীরায় একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে।"
ছ। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে ১০০ জন সদস্যের কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।