ডেস্ক রিপোর্ট।।
কয়েকদিন বেশ আয়োজন করে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে। উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এগিয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। দুপুর নাগাদ ঝড়টি ঢাকা ও কুমিল্লা হয়ে ভারতের ত্রিপুরা যাবে। পরবর্তীতে ত্রিপুরা থেকে আসাম এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়েই অতিক্রম করবে ‘বুলবুল’।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়টি দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ ঢাকা ও কুমিল্লাঞ্চল হয়ে ভারতের ত্রিপুরা-আসামের দিকে অগ্রসর হতে হতে একেবারেই দুর্বল হয়ে যাবে। এর ফলে ঢাকাসহ ঝড়ের গতিপথ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে খুলনা, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট অঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি তার অবস্থান থেকে ক্রমান্বয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা ও কুমিল্লাঞ্চলের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে ভারতের আসাম অঞ্চলের দিকে যেতে যেতে দুর্বল হয়ে যাবে। আর এজন্য দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময় ঢাকাসহ ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ অঞ্চলে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হলেও নদী ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে আগের মতোই বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ঝড় কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও এখনও সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সংকেত বজায় থাকবে।
চলতি বছর যতগুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার অধিকাংশই সুন্দরবনকেন্দ্রিক হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ বলে জানান আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল মান্নান।