অর্থ ও বাণিজ্য ১২ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:০৬

লন্ডনে বাংলা বন্ড

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

গতকাল লন্ডন স্টক মার্কেটে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা টাকা বন্ডকে লিস্টিং করার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রিং দ্য বেল নামের এ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলা বন্ড চালু বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একটি বড় পদক্ষেপ। এ বন্ড চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগ আরও সহজতর হবে।’ এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলা বন্ড চালুর পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান, এমনকি বাংলা বন্ড নামকরণটিও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বলেও জানান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট নেনা স্টেলকোভিক, ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম, আইএফসি ডিরেক্টরবৃন্দ। লন্ডন সময় সকাল সাড়ে ৯টায় লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ সেমিনার রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে চালু হয়েছে “বাংলা টাকা বন্ড”। এটি হবে একটি টাকা বন্ড। এ বন্ডের আকার হবে ১০০ কোটি ডলার। কিন্তু প্রাথমিকভাবে বাজার থেকে তোলা হবে ১ কোটি মার্কিন ডলার বা ৮৪ কোটি টাকা। প্রবাসীরা ডলারে এ বন্ড কিনলেও প্রথমবারের মতো তা টাকায় রূপান্তর করে দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) হবে এ বন্ডের ইস্যু ম্যানেজার।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশের টাকা কোনো আন্তর্জাতিক ফাইন্যানশিয়াল মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে। টাকা লন্ডন স্টক মার্কেটে লেনদেন হবে। যে কেউ এ বন্ড কিনতে পারবেন। ডলার দিয়ে এ বন্ড কিনতে হবে। সেই ডলার টাকায় কনভার্ট হয়ে তা বিনিয়োগ করা হবে। আইএফসি বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করেছে। এই ১ বিলিয়ন ডলার “টাকা বন্ড” ছাড়ার মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ আরও বাড়বে।’ সূত্র জানান, প্রাথমিকভাবে এ বন্ডের সময়সীমা হতে পারে তিন বছর মেয়াদি। পরে তা বাড়িয়ে পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর করা হতে পারে। জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে এ ধরনের বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ চলছিল। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আইএফসি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব দিলে তখনই প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।