ডেস্ক রিপোর্ট ।।
ডাকসু এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ডাকসু নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পর আজ সোমবার সকালে তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দেন।
আমাদের কাগজ পাঠকদের সুবিধার জন্য সাদ্দাম হোসেনের স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
"ডাকসু নির্বাচনের সময় আমাদের প্যানেল থেকে ৭ জন মেয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রত্যেকটি প্যানেলের থেকে এটি ছিল কয়েকগুণ বেশি। আমরা বলেছিলাম, মেয়েরা আমাদের ভোট দিক আর না দিক, ছাত্রলীগ মেয়েদের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে নির্বাচনের আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে নৈতিকভাবে বিজয়ী হয়েছে।
মেয়েদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। এটি বাস্তবায়ন করা ছিল আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। টেকসই কিছু করা, বাস্তবায়নযোগ্য কিছু করা, শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ ও ব্যবহারউপযোগী কিছু করা, ট্যাবু ভাঙা এবং সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা- সবকিছু ভেবেই আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে মেয়েদের ৫ টি হলে এবং ক্যাম্পাসের ৫ টি স্থানে এটির ব্যবস্থাপনা শুরু হতে যাচ্ছে। ২০০১ সালের পর থেকে প্রচলিত ১০ টাকার নোট দিয়ে মেয়েরা এটি ব্যবহার করতে পারবে। ভবিষ্যতে বর্তমান বাজারমূল্য ১৪ টাকার চেয়ে যদি এটি বৃদ্ধিও পায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা একই দামেই এই সেবাটি পাবে।
যে স্বপ্ন প্রতিনিয়ত আমাদের তাড়া করে বেড়ায় সেটি হল শতবর্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এ ক্যাম্পাসটাকে মেয়েদের জন্য শতভাগ উপযোগী করে গড়ে তোলা। শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবস্থা নয়, আমরা চাই লিঙ্গবৈষ্যমের প্রত্যেকটি চিহ্ন দুমড়েমুচড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিতে। নারী-পুরুষ পরিচয়ের ঊর্ধে মানুষ হিসেবে সবাই বাঁচতে শিখুক, স্বাধীন জীবন যাপন করুক, তথাকথিত সামাজিক বিধিনিষেধ আর নীতি পুলিশির শৃঙ্খল ভেঙে ফেলুক- এটিই আমাদের চাওয়া।
মেয়েদের হলে ক্যাম্পেইন চালানোর সময় আমরা বলতাম, আজকে ৭ জন মেয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে আমরা বলছি, আমাদেরকে ভোট দিন; আমরা এমন দিন চাই যেদিন ভিপি, জিএস, এজিএসসহ বেশিরভাগ পদে মেয়েরা নির্বাচন করবে এবং ছেলেদের হলে গিয়ে বলবে আমরা আমাদের প্যানেলে ৭ জন ছেলেকে মনোনয়ন দিয়েছি, আমাদেরকে ভোট দিন।
এমন দিন আসুক এ ক্যাম্পাসে!"