সম্পাদকীয় ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৫৯

ডেঙ্গু সংক্রমনে দায় কার?

হাসান শাওন ।। 

সরকারি হিসেবে এ বছর ডেঙ্গু রোগী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ১২টি হাসপাতাল, বেসরকারি ২৯টি হাসপাতাল ও ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেঙ্গু রোগীদের এই হিসাব দেওয়া হয়েছে। 

মূলত গত বর্ষা থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মহামারীর দায় কে নেবে?

সিটি করপোরেশন ও সরকার থেকে বলা হয়েছিল, যাদের বাসায় ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে সমস্যার কোনো উন্নতি হয়নি। 

একই সময়ে গণমাধ্যমে খবর আসে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ন মশার ওষুধ কেনার ঘটনা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা এখনও অজানা। 

জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে এতো বড় একটি প্রহসন কর্তৃপক্ষ কিভাবে করতে পারে তা সাধারণ জনগণের বোধগম্য নয়। এই পরিস্থিতি এক দিনে তৈরি হয়নি। দিনে দিনে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে গেছে। তাই শুরু থেকেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া কাম্য ছিল। 

এখন শীত মৌসুম চলছে। এ সময়ে মশার প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। যদিও এ সময়টায় বৃষ্টি হয় না। তাই ডেঙ্গু সংক্রমনের আশঙ্কা একটু কম। কিন্তু তারপরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। 

জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সকল কর্মকতার বিচার হওয়া উচিত। তাহলে সামনের মৌসুমে কিছু ইতিবাচকতা খুঁজে পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে। মোট কথা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো হেলাফেলা নয়। দায় নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। কোনো জীবনই ফেলনা নয়। সবার জীবন মূল্যবান। তাই দায় নিয়েই জনগণের সেবা করতে হবে।