ডেস্ক রিপোর্ট।।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর নির্মম নির্যাতনে শহীদ হয়েও স্বীকৃতি মেলেনি শামসুল ইসলামের।
স্বাধীনতার পর চার যুগ ধরে স্বীকৃতি চেয়েও পাচ্ছেন না তার স্ত্রী ও পুত্র।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামের শামসুল ইসলাম দেশাত্ববোধক গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতেন। খবরটা রাজাকারদের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনীর কানে পৌঁছাতে সময় লাগেনি। তারা শামসুলকে না পেয়ে আটক করে নিয়ে যায় স্ত্রীর বড় ভাই ইউপি সদস্য গোলাম রহমানকে। তাকে জিম্মি করে শামসুলকে আটক করে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।
এর আগে স্বামীকে না পেয়ে তিনদফা শামসুলের স্ত্রী জাহানারাকেও ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানী বাহিনী। পরে একদিন গোপনে বাড়ি এলে শিশুপুত্র রাজুর সামনেই শামসুলকে আটক করে পাকিস্তানী ক্যাম্পে নিয়ে যায় রাজাকাররা।
স্বাধীনতার পর দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চরম দুর্দিনে পড়েন জাহানারা। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের ডাকা হলেও আবেদন করেও মেলেনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।
অনেকেই ভুয়া সনদে পাচ্ছেন সব ধরণের সুযোগ সুবিধা আর এখনও কোন স্বীকৃতি না পাওয়া শহীদ পরিবারের জন্য বড় কষ্টের এমনটাই জানায় শামসুল ইসলামের পরিবার।