অর্থ ও বাণিজ্য ২ অক্টোবর, ২০২০ ০৯:৫৫

অবৈধ বানিজ্য বন্ধে সরকারের প্রতি অর্থনীতিবিদদের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে দেশে ক্রমবর্ধমান অবৈধ বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে এ বিপর্যয় মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে করোনাকালে অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈশ্বিক অপরাধমূলক সিন্ডিকেটগুলো তাদের ‘অবৈধ পদচিহ্ন’ সম্প্রসারণের জন্য দেশের অকার্যকর রেগুলেটরি কাঠামো, সরবরাহ ঘাটতি, ভোক্তাদের পছন্দ পরিবর্তন এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে দামের ব্যবধানের সুযোগ গ্রহণ করছে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ক্রমবর্ধমান অবৈধ বাণিজ্যের কারণে বিশ্বজুড়ে সরকার ও ব্যবসায়ীরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারাবে, যা শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলবে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) তথ্য অনুযায়ী, অবৈধ বাণিজ্যের কারণে ২০২০ সালে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বা বৈশ্বিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) তিন শতাংশ হ্রাস পাবে।

বিশ্বব্যাপী এ অবৈধ বাণিজ্যের কারণে ইতোমধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস, তামাক, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, পিপিই কিটস, স্যানিটাইজার, বিলাসবহুল পণ্যসহ বিভিন্ন শিল্প প্রভাবিত হয়েছে। মানবপাচার এবং অবৈধ মাদকের প্রবাহও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সূত্রগুলো বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মহামারি শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালের তুলনায় অনলাইনে নকল বা জাল পণ্য বিক্রয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মহামারি চলাকালীন অবৈধ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সব স্তরে অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে দুর্নীতির উৎসগুলো অবশ্যই নির্মূল করতে হবে। অন্যথায় এটি কখনো থামবে না।’

চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেকে ইতিমধ্যে বিপুল  সম্পদ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর  বলেন, ‘দুর্নীতির উৎস নির্মূল না করা হলে অর্থপাচার আরো বাড়বে।’ 

এ বিষয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা এ ধরনের বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে আমরা নকল প্রসাধনীর একটি বড় চালান জব্দ করেছি। আমাদের গোয়েন্দারা খুবই সক্রিয়।’