স্বাস্থ্য সেবা ২১ আগস্ট, ২০১৯ ১২:০৭

ত্রিশের পরে মা হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

দেশে বাল্যবিবাহের হার এখনো অনেক বেশি। তবু অনেক নারীই ৩০ বছর বা তারপরে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, সেশনজট নানা কিছু এর জন্য দায়ী। কিন্তু বেশি বয়সে সন্তান নেওয়ার ঝুঁকিগুলো জানা থাকলে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

কী জটিলতা

মেয়েদের বয়স যত বাড়তে থাকে, ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান তত হ্রাস পেতে থাকে। ফলে সন্তান ধারণেরÿক্ষমতা কমতে থাকে। বেশি বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করলে কেউ বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় পরতে পারেন। গর্ভধারণের পর মিসক্যারেজের আশঙ্কা থাকে। বেশি বয়সে, বিশেষত ৩৫ বছরের পরে যাঁরা মা হচ্ছেন তাঁদের ডাউন সিনড্রোম বা অন্যান্য জন্মগত ত্রুটিসম্পন্ন শিশু জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি বেশি। তা ছাড়া বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা হতে পারে এবং সে কারণে গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতাও হতে পারে।

করণীয়

■ ত্রিশের পরে মা হতে চাইলে গর্ভপূর্ববর্তী চেকআপ করিয়ে একজন প্রসূতিবিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শমতো গর্ভধারণ করতে হবে। স্বামীর বয়সও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

■ ফলিক এসিড একটু আগে থেকেই শুরু করুন।

■ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, অ্যানিমিয়া স্ক্রিনিং করুন। সমস্যা থাকলে চিকিৎসা নিন।

■ অনেক ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন, প্রোজেসটেরন সাপোর্ট বা ভিটামিন বি, সি লাগতে পারে।

■ বাচ্চার ক্ষেত্রে জন্মগত ত্রুটি দেখার জন্য ১২-১৩ সপ্তাহে ডাউন স্ক্রিনিং এবং ২০-২২ সপ্তাহে অ্যানোমেলি স্ক্রিনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শেষ কথা: ক্যারিয়ার, ব্যস্ত জীবন, আর্থিক সচ্ছলতা যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি একটি সুখী পরিবারও জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ। তাই ত্রিশের আগে প্রথম সন্তান নিয়ে নেওয়া ভালো। আর কোনো কারণে দেরি হয়েই গেলে আগে থেকে সতর্ক থাকলে বিপদ এড়ানো যায়। 

প্রশ্ন-উত্তর
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসে কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।