নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনার উপর নির্মিতব্য ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এ ডাবল লাইন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। নির্মাণ শেষ হলে ডুয়েলগেজ সেতুটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু। এ কাজের দায়িত্বে রয়েছে জাপানি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ে সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, যমুনার উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর কয়েকশ গজ উত্তরে নতুন সেতুটি নির্মাণ হবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও সংশোধিত প্রকল্পে সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকল্প ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা করা হয়েছে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে চলাচল করে ৪৪টি ট্রেন। বেশ খানিকটা সময় সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় সেতু পার হতে ট্রাফিক সিগন্যালে নষ্ট হয়। ঈদের সময় ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টদের আশাবাদ, নতুন ডাবল লাইন সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। রাজধানীর সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হবে ঢের। উল্লেখ্য, সেতুটি নির্মাণ হলে বঙ্গবন্ধু সেতুর রেললাইন তুলে নেওয়া হবে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান জানান, ‘মূল সেতুটি দুটি প্যাকেজের আওতায় বানানো হবে। নির্মাণ ব্যয়ের ৭২ শতাংশ ঋণ সহায়তা দেবে জাপান (জাইকা)। সেতুটির পূর্ব অংশ নির্মাণ করবে ওবায়শি করপোরেশন, টিওএ করপোরেশন এবং জেএফই। এই অংশের জন্য ব্যয় হবে ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। আইএইচআই এবং এসএমসিসির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হবে পশ্চিম অংশ। এই অংশে ব্যয় হবে ৬ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা আসতেও শুরু করেছেন।’
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, ‘সেতুর কাজ শুরুর যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই নভেম্বরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। তিনি নিজে যমুনার পাড়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন অথবা ভিডিও কনফারেন্সে করতে পারেন। দুটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ করবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রেন পরিচালনার কথা ভাবছে। চিলাহাটি হলদিবাড়ি সাত কিলোমিটার রেললাইন সংযোগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রেল সংযোগ উদ্বোধন করবেন। এটি চালু হলে আমরা ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি ট্রেন চালু করতে পারব।’
