নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জাল নোটের কারবার করছে। এই চক্রটি কারখানা স্থাপন করে ঈদ, দুর্গাপূজার মতো বিভিন্ন উৎসবকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাল টাকা সরবরাহ এবং বিক্রয় করে। এই সংঘবদ্ধ চক্রটির জাল টাকা তৈরি, কারবার বন্ধ এবং চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে নতুন করে বিশেষ আইনে মামলার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, চলতি মাসে আমরা তিনটি জাল টাকা তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান করেছি। তাদের দেয়া তথ্যমতে গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালী, আদাবর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ৬০ লাখ জাল টাকা, ১১৩টি জাল ডলার ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ এই পুরো চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাজি মাসুদ পারভেজ। মাসুদ পারভেজ ছাড়াও এ চক্রের মোহাম্মদ মামুন, শিমু, রুহুল আলম, সোহেল রানা, নাজমুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে একটি ল্যাপটপ, দুটি স্ক্যানার, একটি লেমিনেটর, দুটি প্রিন্টার, ১২টি ট্রেসিং প্লেট, ৫ রিম জাল টাকা ছাপানোর কাগজ জব্দ করা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, তারা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে। তারা বড় কোনো উৎসব দুর্গাপূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান, এক লাখ টাকার জাল নোট তারা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।






















