জাতীয় ২৫ অক্টোবর, ২০২০ ০৫:৪১

প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

ডেস্ক রিপোর্ট

হাঁটিহাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে পার করছে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এ উপলক্ষে ‘কর্মের গৌরবে প্রাণের সৌরভে বিপুল শক্তি একসাথে শতপ্রাণে’ স্লোগানকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী উদযাপনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ডিআরইউ।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে  রজতজয়ন্তীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  চার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াললি এতে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা মনে করছেন, এই দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় ডিআরইউর বড় অর্জন পেশাদার সাংবাদিকদের ‘ঐক্য’। আগামী দিনে এই ঐক্য ধরে রাখতে নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাধারণ সদস্যদের সচেষ্ট থাকার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। এদিন রজতজয়ন্তীর শোভাযাত্রার পাশাপাশি আইডিইবি ভবনে ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক একটি স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একই দিন ‘নারী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ’ ও ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের আইন’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর শুক্রবার আইডিইবি ভবনে। এদিন ‘রিপোর্টার্স চ্যালেঞ্জ: রিয়েল নিউজ ভার্সেস ফেক নিউজ’ শীর্ষক একটি সেমিনার ও ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ‘ভিউ এক্সচেঞ্জ: রিপোর্টার্স অ্যাক্রস দ্য গ্লোব’ শীর্ষক অনলাইনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩১ অক্টোবর শনিবার। এদিন মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বনাম বর্তমান কমিটির সঙ্গে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এদিনের দ্বিতীয় পর্বে সমাপনী ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

ডিআরইউর রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার বলেন, ২৫ বছরে ডিআরইউর সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে ইউনিটি বা একতা। এটি ডিআরইউ করতে পেরেছে। এই সংগঠন সকল রিপোর্টারদের একমাত্র সংগঠন হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। এই সংগঠন রিপোর্টারদের আবেগের সংগঠন। রিপোর্টারদের আবেগ হচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন এই আবেগটা আমরা ধারণ করি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের ঐক্য ও সংহতি অব্যাহত থাকবে।

ডিআরইউর বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, রিপোর্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মান উন্নয়ন, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সমুন্নত কার জন্যই ২৫ বছর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিআরইউ আমাদের প্রাণের এবং আবেগের সংগঠন। আমরা আশা করি আমাদের এই ঐক্যকে ধারণ করে আগামী নেতৃত্ব ডিআরইউর কার্যক্রম ও মর্যাদাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে সবসময় আছে এবং থাকবে। আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী ২৫ বছরে ডিআরইউর সদস্যদের জন্য নিজস্ব স্কুল থাকবে, কলেজ থাকবে এবং একটি জার্নালিজম ইনিস্টিটিউট থাকবে।

সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিআরইউ সাধ্যের মধ্য থেকে রিপোর্টারদের পাশে ছিলো। এখনো আছে। মহামারি করোনাতে সেটা আরও ভালোভাবে প্রমাণ করেছে ডিআরইউ। ২৫ বছরে এসে যারা এই সংগঠনকে তিলে তিলে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা৷ সুষ্ঠুভাবে পুরো আয়োজন সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।