জাতীয় ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ১০:২৩

টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করছে ছাত্রলীগ: রাব্বানী

গোলাম রাব্বানী

গোলাম রাব্বানী

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বিষয়ে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আমাদের কাগজ পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

‘ভেবেছিলাম ছাত্রলীগ নিয়ে আর কিছু লিখবো না, কিন্তু প্রাণের সংগঠনের নীতি নৈতিকতা অর্থের কাছে নগ্নভাবে বিকিয়ে যাচ্ছে দেখে প্রচন্ড মনঃকষ্ট পাচ্ছি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, এক বছর মেয়াদি কমিটি আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। আমাদের সময়ে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তখন চট্টগ্রামের শ্রদ্ধাভাজন বর্ষীয়ান নেতা, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ভাইয়ের কথায় তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছিলো

আওতাধীন টি উপজেলার সবকটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ।গতবছর একযুগ পুরোনো সীতাকুণ্ডের কমিটি করেছে আর কিছুদিন পূর্বে মীরেরসরাই। অবশিষ্ট টি কমিটি রিপন-রোটন ভাই সোহাগ-নাজমুল ভাইয়ের সময়কার অর্থাৎ গড়ে - বছর আগের পুরনো কমিটি বাদ দিয়ে, কাউকে কিছু না জানিয়ে ২০ লাখ টাকা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সীতাকুন্ডের কমিটি (গতবছর করা) ভেঙ্গে আজ নতুন প্রেস কমিটি করা হয়েছে!

নবনির্বাচিত সভাপতি বয়স উত্তীর্ণ এবং অছাত্র। সাধারণ সম্পাদক অছাত্র, হত্যা অপহরণ মামলার আসামী (চট্টগ্রাম মেজিস্ট্রেট আদালত, মামলা নং-৩৩৯/১৮) ছাত্রলীগের কোথাও প্রাথমিক সদস্য পদও নাই, ইতিপূর্বে স্থানীয়ভাবে শিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো। বাবা ওয়ার্ড জামায়াত নেতা, বড় ভাই ওয়ালিদ রনি উপজেলা বিএনপির সক্রিয় নেতা!

A

প্রসঙ্গত, আহবায়ক শায়েস্তার কাছে কমিটি টিকিয়ে রাখতে ২০ লক্ষ টাকা দাবী করে, বাধ্য হয়ে পৈতৃক জায়গা বিক্রি করে লক্ষ টাকা দেয় বহু কষ্টে। কিন্তু বর্তমান দুইজন ২০ লাখ টাকা দেয়াতে লাখ ফেরত দেয়, লাখ টাকা এখনো রয়ে গেছে জেলা সেক্রেটারির কাছে

একটা উপজেলা কমিটি নিয়ে আমার জায়গা থেকে এত কথা কখনোই সমীচীন নয়, আবেগ দিয়ে ছাত্রলীগ করেছি, দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য কর্মীদের কষ্টে, ব্যথিত হই!

আজ টাকার কাছে হেরে যাওয়া শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মেধাবী শিক্ষার্থী, যোগ্যতম হিসেবেই ১০ বছর বছর যাবত একটা উপজেলার প্রার্থী, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর পদে চাকরি পেয়েও যোগদান করেনি কেবল ছাত্রলীগকে ভালোবেসে। সুযোগ পেয়ে এই করোনা দুর্যোগে ছাত্রলীগের পক্ষে সর্বোচ্চ ইতিবাচক মানবিক কাজ করেছে, যার পুরষ্কার আজকে পেয়েছে!

হায় নীতিহীন রাজনীতি!!

#বিঃদ্রঃ টাকার বিনিময়ে বয়স উত্তীর্ণ, অছাত্র-শিবির দিয়ে কমিটি করার এই অপপ্রয়াস সম্পর্কে চট্টগ্রাম উত্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা শীর্ষ নেতৃত্বকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নাই! তাহলে তাদের কাজ বা পদের উপযোগিতা কি???? কেন্দ্রীয় নেতাদের নিজ নিজ এলাকার ক্ষেত্রে যেকোনো যৌক্তিক সুপারিশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার প্রাকটিস আমরা শুরু করেছিলাম, যেটার সুফল তারা নিজেরা পেলেও হয়তো বর্তমান প্রেক্ষাপটে শীর্ষ নেতৃত্ব ভুলে গেছেন!’