ডেস্ক রিপোর্ট।।
নোটিশ দিয়ে গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিল নয়- সরকারি পাওনা আদায় করাই সরকারের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। আর, কোনো কারণে লাইসেন্স বাতিল হলেও গ্রাহকদের কোনো সমস্যা হবে না বলছে- বিটিআরসি। অন্যদিকে, পাওনা আদায়ে অর্থনীতিবিদরা সালিশ আইনের সাহায্য নেয়ার কথা বললেও মন্ত্রী বলছেন টেলিযোগাযোগ আইনে সেই সুযোগ নেই।
পাওনা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গেল ৫ই সেপ্টেম্বর গ্রামীণফোন ও রবিকে তাদের টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না- জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, 'আইন আমাদের বলেছে যদি কেউ বিটিআরসি’র কথা না শুনে তাহলে বিটিআরসি তার লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে। সেই আইন অনুযায়ী সরকারী অনুমোদন লাগে। সরকার আমাদের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।'
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশকে অযৌক্তিক বলেছে গ্রামীণফোন। অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়েই নোটিশের জবাব দেয়ার কথা বলছে রবি।
রবি’র এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনের জেনারেল ম্যানেজার আশিকুর রহমান জানান, 'এ ধরনের নোটিশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যথাসময়ে আমরা বিশ্লেষণ করে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিবো।'
এদিকে, লাইসেন্স বাতিল হলেও গ্রাহক সেবার কোনো সমস্যা হবে না- বলছে বিটিআরসি। জহুরুল হক আরও বলেন, 'গ্রাহকের কিছু হবেনা, আমরা নিয়োগ করবো ডিসিভার। গ্রামীন-রবি সবই চলতে থাকবে। ডিসিভার টাকাটা উঠিয়ে সরকারকে দিয়ে দিবে। সরকারের টাকা উঠানো যখন শেষ হবে তখন ডিসিভার উঠে যাবে।'
পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে আরবিট্রেশনের কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, 'যে কোন সময় কোন কমার্শিয়াল ডিসপিউট যদি উঠে, এটা আরবিট্রেশনে যায়। বিটিআরসি আইন যদি ভুল হয়, তার জন্য তো গ্রামীনফোন বা বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দায়ী না। আমরা আইনটাকে শুদ্ধ করে ফেলি। নিরপেক্ষ আরবিট্রেটরদের কাছে দিয়ে দেখুক, তাদেরটা সত্যি না আমাদের সরকারেরটা সত্যি।'
তবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন- তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে এটি সমাধানের সুযোগ টেলিকম আইনে নেই। তিনি বলেন, 'বিটিআরসি আইনে আরবিট্রেশনের কোন সুযোগ নাই। অর্থাৎ আমরা চাইলেই কোন তৃতীয় পক্ষকে বসিয়ে দিতে পারিনা। লাইসেন্স বাতিল করাটা কোন টার্গেট না। আমাদের তাদের কাছে পাওনা আছে। সেই পাওনাটা তারা পরিশোধ করছেনা। তাদের কোন সদিচ্ছাও দেখা যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে আমাদের কোঠোর হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবেনা।'
বিটিআরসির দাবি- গ্রামীণফোনের কাছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ও রবির কাছে প্রায় সাড়ে ৮শ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের।



















