জাতীয় ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ১০:১১

একটাকেও ছাড়ব না: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলেছি আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায়, তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা।’

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

বিএনপি আমলের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই।’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান, তারা সবাই খুনি। তাদের কী অধিকার আছে দেশে রাজনীতি করার? এরা মানুষের কল্যাণে কী কাজ করবে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না; কিন্তু যেভাবে তারা ওই অত্যাচারগুলো করেছিল আমরা ভুলব কীভাবে? সাধারণ মানুষ ভুলবে কীভাবে? তার ওপর তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, এটা কোনো মানুষের কাজ। জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারা, এটাই নাকি বিএনপির আন্দোলন!’

একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করে, মানুষের কল্যাণের কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি। কিন্তু বিএনপি কী করে? ‘তারা (বিএনপি) ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কত মেয়েকে নির্যাতন করেছে? বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই তারা অত্যাচার করেনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছিল, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ঠিক একইভাবে অত্যাচার করেছিল।’

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। 

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৪ মার্চ পঞ্চম জাতীয় জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় পাঁচ বছর পর সম্মেলন হলো।


আমাদের কাগজ/এম টি