নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। তিনি বলেছেন, “আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্ত যে, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ড্রেস না পরেই সেখানে দৌড়ে গিয়েছিলেন। রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “মার্কিন রাষ্ট্রদূত একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই তথ্য কিভাবে ফাঁস হলো তা আমরা জানি না। সেটা তার অফিস থেকেও হতে পারে। সেখানে খবর পেয়ে কীভাবে কিছু লোক তাদের দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। শুনেছি জিয়াউর রহমানের আমলে কিছু লোককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে তারা জানাতে গিয়েছিলেন।”
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে-বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো যাতে আর না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলেছি। এছাড়াও ক্যাম্পগুলোতে অপরাধীদের যে নেটওয়ার্ক ঘরে উঠেছে সেগুলো নজরদারি করার জন্য কমিটি করে দিয়েছি। সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ক্যাম্পগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীর নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেটারও ৯৯% কাজ শেষ। শুধু মনিটরিংয়ের জন্য যে ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর মনিটরিং রুমের কাজ বাকি”
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আমরা সবাই কাজ করছি। যাতে রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের দেশে ফিরতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ অল্প কয়েকজনকে তাদের দেশে নিয়েছে। যা একেবারেই হাতে গোণা (সংখ্যায় কম)।”
আমাদেরকাগজ/ এইচকে





















