জাতীয় ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:৪১

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: নির্মমতার ১৪ বছর 

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পূর্ণ হল আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে শুরু হওয়া গণহত্যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।

দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা। দিবসটি উপলক্ষে সকল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) স্থাপনায় বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তিন বাহিনীর প্রধান- সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম ও নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে তিন দিনব্যাপী বিডিআর সপ্তাহ চলাকালে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) বাহিনীর কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তারা ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।

তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড সমর্পণের মাধ্যমে পরের দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিদ্রোহ শেষ হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা ও লুটপাটের এবং বাকিটি বিদ্রোহসহ মোট ৫৮টি মামলা হয়েছে।

হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় হত্যা মামলায় ২৭৭ আসামি খালাস পেয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্যদিকে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ বিডিআর সদস্যকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর