জাতীয় ১৯ জুন, ২০২৩ ১১:৩৯

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন

বছরে সোয়া কোটি টাকারও বেশি আয় মোহাম্মদ এ আরাফাতের

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বেসরকারি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাতের পেশা থেকে আয় বছরে ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা।  ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থীর ব্যাংক আমানতে ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা সুদসহ বছরে মোট আয় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। অন্য দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমানে বছরে আয় ১৫ লাখ টাকা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।


আরাফাতের ব্যাংকে নিজের নামে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া নিজ নামে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৯৯ টাকার শেয়ার আছে। আর এই প্রার্থীর নিজের নামে সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত ৩০ লাখ টাকা, ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার গাড়ি, ছয় লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। রাজধানীতে আছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অ্যাপার্টমেন্ট। তার নিজের ও স্ত্রীর স্বর্ণ, পাথরনির্মিত অলংকার বা অন্য কোনও মূল্যবান অলংকার নেই।


আরাফাত স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এসএফআইএল) থেকে নিজ নামে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ টাকা গৃহঋণ নিয়েছেন। তার স্ত্রীর নামে অপরিশোধিত শেয়ারের অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা। আরাফাত তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার কৃষি ও অকৃষিজমি নেই। 

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমানের আয় কম হলেও মামলা রয়েছে তিনটি। এছাড়া অতীতে একটি মামলা খারিজ হয়েছে, আর একটি আপস নিষ্পত্তি হয়েছে। বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা ও পেনশন থেকে বছরে তার আয় ১৫ লাখ ১৮৩ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলের আয় ২ লাখ ৪ হাজার টাকা। আনিসুর রহমানের কাছে নগদ আড়াই লাখ ও স্ত্রী হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা আছে ও ৫ তোলা স্বর্ণালংকার আছে।


এছাড়া ১৭ লাখ টাকার গাড়ি ও ৭ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র রয়েছে জাপা প্রার্থীর। আবার নিজের নামে ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অকৃষি জমি ও ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট এবং স্ত্রী নামে ৩৪ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্টও আছে।

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর