জাতীয় ২৭ জুন, ২০২৩ ০৬:৫০

জমে উঠেছে গাবতলী পশুর হাট

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। এ ঈদ ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও জমে উঠেছে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট। গত কদিন যারা হাটে এসে পছন্দের পশু ও দরদামের খোঁজখবর নিয়ে ফিরে গেছেন, তাদের এখন কেনার পালা। তাই তো সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে হাট থেকে কোরবানির পশু কিনতে দেখা গেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।

অন্যদিকে সীমিত লাভে হলেও শেষ সময়ে গরু ছাড়ছেন ব্যাপারীরা। কোরবানির গরু-ছাগল কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততায় মুখর গাবতলী পশুর হাট।


মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে ওই হাটে গিয়ে দেখা গেছে, শেষ বিকেলে হাটে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে পশুর দরকষাকষি ও তাদের পদচারণায় উৎসবের রূপ নিয়েছে কোরবানির পশুর হাট।

অন্যান্য বছরের মতো এবছরও গাবতলী পশুর হাটে প্রচুর গরু-ছাগল উঠেছে। তবে এবারও যথারীতি মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। অধিকাংশ ক্রেতার অস্বস্তি যেটুকু সেটা কোরবানির পশুর চড়া দাম নিয়ে। কেউ কেউ আবার শেষ মুহূর্তে কেনার ঝুঁকি এড়াতে একটু বেশি দামে হলেও কিনে নিচ্ছেন পছন্দসই কোরবানির পশু।


হাটে কোরবানির পশু নিয়ে আসা ব্যাপারীদের দাবি, পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে, গরু-ছাগলের নানা রোগবালাইয়ে ওষুধের পেছনেও খরচ বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পশু লালন-পালনের ব্যয় মিটিয়ে এবছর তাদের খুব একটা লাভ হবে না।

গাবতলীর পশুর হাটে পল্লবী থেকে গরু কিনতে এসেছেন হাজি আব্দুল হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, অসংখ্য পশু রয়েছে হাটে। তবে এবার দাম বাড়তি। তাই ক্রেতারা বাজেট অনুযায়ী ভালো মানের গরু কিনতে পারছে না। যে গরুর দাম হওয়া উচিত ৮০ হাজার টাকা, বিক্রেতারা সেটার দাম হাঁকছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত কোরবানির ঈদের তুলনায় এবার পশুর দাম অনেক বেশি। একই সাইজের গরু গতবারের চেয়ে এবার ৪০ হাজার টাকা বেশি দিয়েও কিনতে পারলাম না।


তবে ক্রেতাদের এ ধরনের অভিযোগ মানতে নারাজ গরুর ব্যাপারী ও গৃহস্থরা। তারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে তাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় গরু নিয়ে আসতে পরিবহন খরচও বেড়েছে। সে তুলনায় গরুর দাম তেমন বাড়েনি বলে মনে করছেন তারা। ব্যাপারীরা বলছেন, এবছর কোরবানির পশু বিক্রি করে তারা আশানুরূপ লাভ পাবেন না।

মানিকগঞ্জের মওলুদ ব্যাপারী গাবতলী হাটে ৫৫টি মাঝারি মানের গরু নিয়ে এসেছেন। এরমধ্যে ২১টি বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি জানান, প্রতিটি গরু প্রত্যাশার থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমে বিক্রি করেছেন।


মওলুদ ব্যাপারী  বলেন, ট্রাকভাড়া করে গাবতলীর হাটে গরু নিয়ে এসেছি। কিন্তু ঢাকার ক্রেতারা কেনার মতো দাম বলছেন না। পশু পালনে খরচ কতটা বেড়েছে তা শুধু ব্যাপারী বা গৃহস্থরাই জানেন। আশা করছি, সবগুলো কোরবানির গরু ভালোভাবে বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবো।

 

আমাদের কাগজ/টিআর