আমাদের কাগজ রিপোর্ট: বাংলাদেশের নির্বাচনি আইন-কানুন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধিবিধানের খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছেন তারা। ইসির পক্ষ থেকে বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরার পাশাপাশি আইন-কানুনের কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। বাকিগুলোও সরবরাহ করার অনুরোধ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে ইসির আইন শাখার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইইউ প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বৈঠকে তারা ইসির সব আইন ও বিধিবিধানের বিষয়টি জানতে চেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। রিকার্ডো চেলেরির নেতৃত্বাধীন এ প্রতিনিধিরা সরকারের একাধিকমন্ত্রী, আওয়ামী লীগসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে ১১ জুলাই তারা ইসির সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মাহাবুবার রহমান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি-না, এজন্য আগেও তাদের একটি দল এসেছিল। তখন তারা ইলেকশন প্রসেসিং জানতে বসতে চেয়েছিলেন। আমাদের প্রক্রিয়া, আইন-কানুন যা আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, দেশি পর্যবেক্ষক কীভাবে কাজ করবে, কীভাবে করবে না— এসব বিষয় জানতে চেয়েছেন। আমাদের বাংলায় আইন, উনারা তো জানেন না। এগুলো তারা জানতে চেয়েছিলেন, আমরা প্রোভাইড (সরবরাহ) করেছি।
তিনি জানান, সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে শুরু করে সংশোধনী যেগুলো হয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে গেলে কোন প্রক্রিয়ায় আসতে হবে, কীভাবে আসতে হবে, ইক্যুপমেন্ট যদি লাগে কীভাবে নিয়ে আসবেন এগুলো, নির্বাচন বিষয়ক যা কিছু আছে খুঁটিনাটি সব জানতে চেয়েছেন।
আরপিও সংশোধনী নিয়ে কোনও উদ্বেগের কথা বলেছেন কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উদ্বেগের কিছু বলেননি। উনারা জানতে চেয়েছেন। সন্তুষ্টির-অসন্তুষ্টির কোনও বিষয় আসে নাই। আমাদের এক্সিসটিং ল, রুলস, রেগুলেশন, ইলেকশন প্রসেসিং— এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।
নির্বাচনে সহায়তা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনারা কোনও সাপোর্ট দেবেন এমন কিছু বলেন নাই। উনাদের কী সাপোর্ট দেবো সেটা জানতে চেয়েছেন। যেমন তারা আসবেন, দুই মাস আগে যদি আসেন তাদের পাসপোর্টের বিষয় থাকে। এয়ারপোর্টে সাপোর্টের বিষয় থাকবে। ইক্যুপমেন্ট লাগলে কোথায়, কীভাবে নিয়ে আসবেন।
নির্বাচনি খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে আইন শাখার যুগ্ম সচিব বলেন, আমাদের এখানে লিগ্যাল ডিসপিউটগুলো কীভাবে নিষ্পত্তি হয়— সেটা জানতে চেয়েছেন। আইনে প্রসিডিউরগুলো কীভাবে হয় জানতে চেয়েছেন। নির্বাচনের আগে-পরে, যেমন নমিনেশন পেপার সাবমিট কীভাবে হয় সেটাও উনারা জানতে চেয়েছেন। বাছাই কীভাবে হয়, প্রসেসগুলো কী..সেগুলো তো উনাদের জানার কথা নয়।
আমাদের কাগজ/টিআর






















