আমাদের কাগজ রিপোর্ট: নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর আশকোনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কার কথা জানান তিনি।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের ভোটগ্রহণ চলাকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কেন্দ্রের বাইরে তার ওপর হামলা চালায় নৌকার ব্যাজধারী ব্যক্তিরা। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তার ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন দেশের বিবৃতি সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, অবশ্যই এটা ভালো লেগেছে। আমার ওপর যে অন্যায় হয়েছে, তার প্রচার হয়েছে। সবাই জেনেছে আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে। আমাকে যেভাবে পেটানো হয়েছে কোনো মানুষকে এভাবে মারা হয় না। আমাকে পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দিয়েন না। আমাকে এড়িয়ে যান। কিন্তু আমার গায়ে হাত তোলার অধিকার আপনাদের কারও নেই।
তিনি বলেন, আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি কিন্তু আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। আজ আমার বাড়িতে চারটি মোটরসাইকেলে করে ৮ থেকে ১০ জন ছেলে গিয়ে 'হিরো আলম বের হ' বলে চিৎকার করছিল। তারা আমার গেটে ভাঙচুর করেছে। তারা কারা আমি জানি না।
হিরো আলম বলেন, ‘যেদিন আমার ওপর হামলা করা হয়, সেদিন যদি পুলিশ আমাকে গাড়িতে তুলে দিত, তাহলে হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতাম।’
তিনি বলেন, আমার ওপর যে হামলা হয়েছিল, আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। এ হামলার জন্য আমি পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করছি। যেদনি মারামারি হয়, পুলিশ যদি তাদের বাধা দিয়ে আমাকে গাড়িতে তুলে দিত তাহলে আমি এই হামলার শিকার হতাম না।
হিরো আলম বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে, টাকা দিয়ে তারা ভোট কিনেছে। আট দশ বছরের মেয়েকে দিয়ে তারা ভোট দিয়েছে। একটা মেয়ে ৫০টা সিল মেরেছে। এ রকম অনেক তথ্য আছে। এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমাকে ইচ্ছে করে হারানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন হাসপাতালে যাওয়ার পর বুঝতে পারছিলাম শরীরে অনেক ব্যথা, বিভিন্ন জায়গায় দাগ হয়ে গেছে। রক্ত জমে গেছে। রাতেও প্রচুর ব্যথা হয়। পরে আল আরাফাহ হসপিটালে আসার পর এখানে চিকিৎসকরা খুব ভালো চিকিৎসা করেছে। এখন ব্যথা কমেছে।
আমাদের কাগজ/টিআর



















