জাতীয় ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০৮:২২

‘শেখ হাসিনাকে দমাতে না পেরে বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে আমেরিকা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু সপ্তম নৌবহরই পাঠাননি, এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধের পর বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে কমিয়ে তাঁকে হত্যা করার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।

আমেরিকার বর্তমান নরম সুরের ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বন্ধু বেশেই কাউকে হত্যা করা সহজ। বঙ্গবন্ধুকে কাছের মানুষেরাই হত্যা করেছে। এখন ধমক দিয়ে শেখ হাসিনাকে দমাতে না পেরে,আমেরিকা বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে।  

বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ডুয়েট ছাত্রলীগ এলামনাই এসোসিয়েশন (ডুয়েকা)'র উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে 'আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা অনেক কঠিন। অল্প কথায় বঙ্গবন্ধুকে বর্ণনা করা যায় না। তিঁনি হিমালয়ের মতো বিশাল। ছাত্রাবস্থায় থাকতেই পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সিক্রেটস ডকুমেন্টস যা গোয়েন্দাদের লিখা পড়তে হবে।  

মন্ত্রী আরও বলেন, কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করি। অথচ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতেই সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী চরিত্র ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন জাতি গঠন করতে চেয়েছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি কারাগারে থেকেও বঙ্গবন্ধু বারবার সোনার বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন৷  

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এম. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো: নুরুজ্জামান, ডুয়েকার প্রাক্তন সভাপতি প্রকৌশলী ফখরুল হায়দার।  

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে নির্মূল করার জন্য শত্রুরা বারবার আঘাত করেছেন। ১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত শত্রুরা চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করে দিতে।  কিন্ত দেশ ও জনগণের সেবার জন্য জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বারবার শোককে শক্তিতে পরিনত করে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন। আগামীতেও আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে অতন্দ্র প্রহরী মতো নেত্রীর (শেখ হাসিনা)'র পাশে থাকবেন। আগামীর প্রজন্মের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে হবে৷  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী এবং ডুয়েকার সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী আব্দুল জলিল হাওলাদার পলাশ।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী আমিরুল হক, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।


আমাদেরকাগজ/এইচএম