ডেস্ক রিপোর্ট ।।
কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। আগামী ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরবঙ্গের মানুষের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন উপহার ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রংপুর স্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা। প্রধানমন্ত্রী আমাকে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমরা এ নিয়ে কাজ করেছি। এখানকার মানুষের দাবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবরই আন্তরিক ছিলেন। তিনি নিজেই কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামটি পছন্দ করেছেন। ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নতুন এই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি দিবা-রাত্রির দুটি ট্রেন চালু করা। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের মাধ্যমে সেই দাবি পূর্ণ হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস চলাচল করে রাতে। আর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলবে সকালে। এতে রংপুরের মানুষের দুটি দাবি পূরণ হচ্ছে।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ট্রেনটি কুড়িগ্রাম থেকে সকাল ৭টা ১০মিনিটে ছেড়ে রংপুরে পৌঁছার পর ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার ও নাটোর স্টেশন হয়ে সরাসরি ঢাকায় পৌঁছাবে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি সম্পূর্ণ নতুন ও উন্নত।’
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একাধিক ট্রেন ব্যবস্থা আছে। শুধু ঢাকার সাথে রংপুরের যোগাযোগে একটির বেশি ট্রেন নেই। রংপুর এক্সপ্রেস খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। লালমনিরহাট আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের অবস্থা একই। শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রী ভোগান্তি। একটু ধৈর্য ধরেন, ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে।’
তিনি বলেন, ‘ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালেই দুর্ভোগ কমবে না। যতদিন লাইন না বাড়বে। আমরা আগামী জানুয়ারির মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরেকটি রেল সেতু নির্মাণ করব। এর নাম হবে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। ডাবল লাইন ও ডুয়েল গ্রেজ থাকবে। আশা করছি, ধীরে ধীরে ভোগান্তি ও চাপ কমে আসবে।’
এসময় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষারকান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, দফতর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল প্রমুখ।





















