জাতীয় ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০৪:৪১

রিজভী বাইরে থাকুক, কথা বলার লোক থাকা দরকার: কাদের  

আমাদের কাগজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বাইরে থাকুক। দুয়েকজন কথা বলার লোক থাকা দরকার। তাদের আসল নেতা তারেক রহমান তো আছেই। সে স্কাইপিতে বিদেশ থেকে নির্দেশ দিচ্ছে। (রোববার) (৫ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা পালিয়েছেন, তাদের দেখা যায় না। বিএনপির ১ কোটি নেতাকর্মীরা কোথায় গেল? তাদের ৮ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা মিথ্যা। এসব মিথ্যা কথা বলে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি পুলিশ, সাংবাদিক, ও বিচারপতির বাসায় হামলা করছে। পুলিশ হত্যার পাশাপাশি বাসেও আগুন দিয়েছে। মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এর দায় এড়াতে পারবে? তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালত সঠিকই বলেছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যাদের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস হয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের রক্ষায় নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে। যত স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হবে।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে রাজধানীতে দলটির ২ হাজার ২৬১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত কয়েক দিনে হওয়া ৮৯টি মামলার বিপরীতে তাদরে গ্রেপ্তার করা হয়। (রোববার) (৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এদিকে, হরতালের দিন এবং পরবর্তী কয়েকদিনে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জ্যেষ্ট এই নেতা বলেন, বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হয় না। বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা আগুন সন্ত্রাসের দল। এখন তারা যা করছে, এরপর আর সংলাপের পরিবেশ নেই। একসময় বলেছিলাম শর্ত তুলে নিলে সংলাপ হতে পারে, সেই সময় শেষ।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আমাদেরকাগজ/ এমটি