জাতীয় ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:২০

যারা দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে সমস্ত দল নির্বাচনে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, দল হিসেবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।  

আজ (শনিবার) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করতে অগ্নিসন্ত্রাস করলে এর পরিণতি ভালো হবে না। যারা করবে আমাদের দেশের মানুষই তাদের শাস্তি দেবে। দেশের মানুষকে আমি সেই আহ্বানটাই জানাচ্ছি। আমাদের কষ্টের অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারাকে কেউ যেন ব্যাহত করতে না পারে, এটাই আমার আহ্বান।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসী ভোট দিয়ে তাদের প্রিয় মানুষকে নির্বাচিত করবে। যারা সংসদে বসবে, আইন পাস করবে, রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কাজে এটা হচ্ছে জনগণের অধিকার। জনগণের অধিকার যারা কাটতে চেষ্টা করবে, জনগণের অধিকার যারা কেড়ে নিতে অগ্নিসন্ত্রাস করবে, জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। আমি জনগণের কাছে সেই আহ্বানটাই জানাই।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন,  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখী মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা ভাবনা করে। শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, ১৯৪৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম।  জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে। দেশের সংবিধান মেনে চলে, প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারু ভাবে করে। 

তিনি বলেন, আজকে যারা পার্টি থেকে প্রার্থী হবেন তারা এখান থেকে ফর্ম সংগ্রহ করবেন। তাদের জন্য আমরা আট বিভাগের দশটি বুথ তৈরি করে দিয়েছি। জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে নাম্বার থাকে বা সিরিয়াল থাকে, সেই সিরিয়াল অনুযায়ী ফরমগুলো সাজানো হবে। এভাবে প্রসেস করে মনোনয়ন বোর্ডে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে।  সংসদীয় বোর্ডের মাধ্যমে প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে, তাদের জনপ্রিয়তা চদেখে, তাদের কার্যক্রম বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন দিয়ে থাকি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুসংগঠিতভাবে কাজ করে থাকে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৩-১৪ সালে আমরা দেখেছি নির্বাচন ঠেকানোর নামে বহু মানুষকে অগ্নি সন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মেরেছে। আমার কত হচ্ছে এটা কোন ধরনের রাজনীতি? অগ্নি সন্ত্রাস করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা, ব্যক্তিগত সম্পদ নষ্ট করা, ধ্বংসাত্মক কাজ করে যারা নির্বাচন বানচাল করা, যারা গণতান্ত্রিক ধারা কেউ ব্যাহত করতে চায়, তাদের জন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানাই, এদেরকে জনগণকে প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা চায় জনগণের ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে। ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা হত্যা করার পর আমরা দেখেছি রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে ক্ষমতা দখলের পালা চলছিল।  অবধভাবে ক্ষমতা দখল করে, বৈধতা দেয়ার জন্য জনগণে ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।  এর বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি,আমাদের বহু নেতা কর্মী জীবন দিয়ে, অত্যাচারীত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত একটা গণতন্ত্রের অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নতি হয়েছে।