নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দু'দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।
আজ মঙ্গলবার (২৫জুন) বেলা ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার ২১ ও ২২-এ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করলাম। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দু'বার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দু'দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে ।
তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে আমি ২১ ও ২২-এ জুন ২০২৪ ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মত কোন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশি, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দু'দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গত ৯ই জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ৮ থেকে ১০ই জুন নয়াদিল্লি সফর করি। সেখানে প্রতিবেশি দেশগুলির রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সফরে আমি ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশসমূহের একাধিক সরকার প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করি। পাশাপাশি আলাদাভাবে আমার সঙ্গে ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানগণের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব আলোচনা ও বৈঠক আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আম্বাসাডর অ্যাটলার্জ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও একটি সাংবাদিক প্রতিনিধিদল আমার সফরসঙ্গী ছিলেন।
