নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এ ২ ইস্যুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করেছে নয়াদিল্লি। এই নিয়ে গত কাল ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই চিঠিটি ভারতের আভ্যন্তরিন বিষয় বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে তার কিছু বলার নেই বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান
আজ মঙ্গলবার (২৫জুন) বেলা ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মমতা ব্যানার্জি যে চিঠি, তিনি তার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন। এটা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে আমার কিছু বলার নাই। এটা সম্পূর্ণ ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের নাক গলানো কোন দরকার নেই। কিছু বলার দরকার নেই। আমার সাথে সকলে সম্পর্ক ভালো। মমতা ব্যানার্জির সাথেও সম্পর্ক ভালো, আবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সাথে সম্পর্ক ভালো। অন্যান্য সব দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ভারতের দল মত নির্বিশেষে সকলের সাথে আমার একটা সুসম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, তিস্তা প্রজেক্ট কিন্তু আজকের না। আমার মনে হয় যুক্তফন্টের সেই ২১ দফার মধ্যেও এটা ছিল। আমাদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ই.. মধ্যে কিন্তু এটা ছিল যে তিস্তা প্রজেক্ট করতে হবে। সেই তিস্তা প্রজেক্ট করার জন্য ভারত সহযোগিতা করবে। আমাদের যৌথ কমিটি হবে। শুধু পানি ভাগাভাগি বিষয় না, গোটা তিস্তা নদীকে পুনর্জীবিত করে সেই উত্তর অঞ্চলে শেষের ব্যবস্থা করা, সেটাই আমরা করবো।
তিনি আরো বলেন, গঙ্গা পানি চুক্তির জন্য আলোচনা হবে, টেকনিক্যাল গ্রুপ আসবে দেখবে, তারপর এটা হবে। নীল নদীর ড্রেজিং করলেই পানি সমস্যার সমাধান হয়। আমরা আমাদের দেশে শুরু করেছি৷ নদীর ড্রেজিং করার কারণে বন্যা হল এখন আগের মতোন ক্ষতি হয় না। নদীতে পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে।