জাতীয় ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৩

কারও নামে একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকলে যাচাইয়ের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বরাদ্দকৃত প্লট বা ফ্ল্যাটের তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন  স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টেদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অফিস আদেশে পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন বলেন, রাজউকের সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজউক কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্লট, ফ্ল্যাট  একাধিক বরাদ্দ থাকলে তা যাচাই করবে রাজউক। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে চাওয়া প্রতিবেদন (যেমন দুদক, ‍সিআইডি, এনবিআরি ইত্যাদি) প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সহকরী পরিচালক এবং উপ পরিচালককে যাচাইয়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
 
অন্যদিকে বিগত সরকারের আমলে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লটসহ অন্যান্য যেসব প্লট রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দিয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক), সেগুলোর মধ্যে যেসব রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) হয়নি এমন শতাধিক প্লট বরাদ্দ বাতিল করতে পারে সংস্থাটি।

রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসব বরাদ্দ দেওয়া প্লটের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনও জানা যায়নি না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করেছে সংস্থাটি। যা আগামী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের সংরক্ষিত প্লটগুলোর মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের বিভিন্ন সময় ২৮৫ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপরেও প্লট বরাদ্দ পান আরও অনেকেই। যেগুলোর সিংহভাগই ছিল বিগত সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর মধ্যে ১৪৯টিই পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, উচ্চ পর্যায়ের আমলা, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা। সে সময় ঢাকায় প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক জনপ্রতিনিধিদেরও প্লট বরাদ্দ দিয়েছিল রাজউক। এ বিষয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য ছিল, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজউকের পক্ষ থেকে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। মূলত যেসব প্লটের এখনও রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন)  হয়নি এমন শতাধিক প্লটের তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হতে পারে। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে মূলত বোর্ড সভা থেকেই।