ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলা রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও ট্রলিম্যানদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় জুয়েল নামে এক ট্রলিম্যানকে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতে ২১০ নম্বর ওয়ার্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরে চিকিৎসকের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে জরুরি বিভাগে চলে আসে। এরপর জরুরি বিভাগের আনসার সদস্যদের সঙ্গে রোগী স্বজনদের হাতাহাতির চেষ্টা হলে জুয়েল নামে এক ট্রলিম্যান বাধা দেন। এতে রোগীর স্বজন ক্ষুব্ধ হয়ে বাইরে থেকে লোক এনে ওই ট্রলি ম্যানকে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনায় রোগীর দুই স্বজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, রাতে বংশাল এলাকার আগামাছি লেন থেকে সাফওয়ান নামে চার বছরের এক শিশুকে ২১০ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর শিশুটি ওই ওয়ার্ডে মারা যায়। এ সময় রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, অবহেলার কারণে ওই শিশুটি মারা গেছে এবং চিকিৎসক নার্সদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে। এরপর জরুরি বিভাগের সামনে এসে ওই রোগীর স্বজনরা মিলে ট্রলিম্যান জুয়েলকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। এ সময় বাইরে থেকেও বহিরাগত লোকজন এসে হামলা চালান। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ এবং পুলিশ ফাঁড়ি মিলে পরিস্থিতি শান্ত করে। যারা হামলা চালান তারা মারপিট করে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ওই শিশুটির বাবা-মাসহ কয়েকজনকে আটক করে রাখে। এরপরের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আহত জুয়েল ওসেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, ২১০ নম্বরে একটি শিশু ডাক্তারের সঙ্গে তর্কাতর্কি এবং একপর্যায়ে জরুরি বিভাগে এসে ট্রলিম্যানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে পালিয়ে যান রোগীর স্বজনরা। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ এবং পুলিশ ক্যাম্পের আমরা সবাই মিলে পরিস্থিতি শান্ত করি। এরপর ওই মৃত শিশুটির পরিবারের কয়েকজনকে আটক রাখা হয় এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উভয়পক্ষকেই থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।





















