প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আটকা পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকের ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ থেকে ঢাকাস্থ সৌদি আরবের দূতাবাসে এই ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয় ।
শ্রমিকদের সৌদি আরবে পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। পর্যায়ক্রমে ফ্লাইট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তারা আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে ফিরিয়ে নেবে বলেও জানানো হয়।
সরকারি তথ্য অনুসারে, সৌদি আরব থেকে গত ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বাংলাদেশে ফিরেছেন এ বছরের মার্চ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দুই দেশই লকডাউন দেয়ায় ফ্লাইট বন্ধ হবার কারণে তাদের কেউই সৌদিতে আর ফেরত যেতে পারেননি।
এদিকে সৌদি আরব বলেছে, ঢাকার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত ভিসা নবায়নের সময়সীমা বর্ধিত করেছে তারা। ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রীবাহী দুটি এবং ভাড়া করা দুটি উড়োহাজে করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। আর ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ বিমান অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে সৌদিতে নিয়ে যাওয়া শুরু করবে।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি আরব নিউজকে বলেছেন, আটকে পড়া সব অভিবাসীর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। যারা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে এ বছর মার্চ মাসের মধ্যে দেশে এসেছেন, শুধু তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি)-এর চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেছেন, প্রাথমিকভাবে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। কিন্তু বর্তমানে আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের তীব্র চাপ প্রত্যক্ষা করা যাচ্ছে। ফলে যতটা প্রয়োজন ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতে পারে।
এদিকে ফ্লাইটের আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা রিপোর্ট সংগ্রহের নিয়মে বিপাকে পড়েছেন আটকা পড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা। বাংলাদেশি শ্রমিক আরমান হোসেন আরব নিউজকে বলেছেন, ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টার মধ্যকার করোনা রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে আমাদের। কিন্তু বর্তমানে আমরা ফ্লাইট শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে টিকেট পাচ্ছি হাতে। এর ফলে করোনা টেস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ঢাকায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিমান সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগেভাগে টিকেট দিতে, যাতে সংশ্লিষ্ট যাত্রী সময় নিয়ে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন।
সিভিল সার্জন ড. মইনুল আহসান জানান, ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়ের মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘন্টা আগে কিছু যাত্রী আমাদের কাছে আসছেন। কারণ, তারা শেষ সময়ে হাতে পাচ্ছেন টিকিট। কিন্তু করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট করতে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। টেস্ট রিপোর্টের কারণে কেউই ফ্লাইট মিস করেন নি।



















