নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। অবশেষে আলোচিত সেই দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার সেই নারী (৩৭)।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ধর্ষণের মামলার বিষয়টি বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেলোয়ার হোসেনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়া মামলার আরেক আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার তাকে দু’বার ধর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয় রমজান মাসের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ঘটনার দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
নির্যাতনের শিকার নারীর বরাত দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন দেলোয়ার প্রায় সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। কুপ্রস্তাবে সাড়া দিতে হুমকি-ধমকিও দেন দেলোয়ার।
বছর খানেক আগে দেলোয়ার ওই নারীর ঘরে ঢুকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। গত রমজানের কিছুদিন আগে দেলোয়ার তার সহযোগী কালামের মাধ্যমে ওই নারীকে একটি নৌকায় ডেকে নেন। সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করতে চান। এ সময় দেলোয়ারের কাছে অনুনয়-বিনয় করলে কালামকে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন। এরপর নৌকায় দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করেন দেলোয়ার।
নির্যাতনের ঘটনার প্রথম দুটি মামলায় দেলোয়ারের নাম না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভুক্তভোগী নারী দেলোয়ারের নামে মামলা করেননি বলে আমাকে জানিয়েছেন। এমনকি ২২ ধারার জবানবন্দিতে দেলোয়ারের নাম না থাকার কারণ শুধু নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়। একই সঙ্গে ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।





















