নিজস্ব প্রতিবেদক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে গয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমতমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বিএনপি সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।
আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী সফিক মিয়াকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চরগাঁও গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে।
এছাড়া একই গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে নাহিদ মিয়া এবং সুজাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ রুবেলসহ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুকিত চৌধুরী জানান, ঘটনার সময়ে তিনি গয়াহরি গ্রামে ছিলেন। সেসময়ে তিনি খবর পান গয়াহরি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের কাছে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি গয়াহরি গ্রামে রবিন্দ্র দাশ মেলাইর বাড়িতে রাতে পৌষ সংক্রান্তির নিমন্ত্রণে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ওই বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের ভাই শায়েল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তার সঙ্গে কুশল বিনিময় চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরী সেখানে পৌঁছান।
এ সময় রাহেল উত্তেজিত হয়ে তার (ছাবির আহমেদ চৌধুরী) সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার দিকে তেড়ে আসেন রাহেল। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। তখন নৌকা সমর্থকরা সফিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার ভুড়ি বেরিয়ে যায়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় রাহেল তার প্রাইভেটকারটি নিজেই ভাঙচুর করেছেন। এ সময় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হট্টোগোলে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।





















