নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় তিনটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে হরিদাগাছী গ্রামে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদের নির্বাচনী সভায় পর পর তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কেশরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হরিদাগাছী এলাকায় নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদের নির্বাচনী পথসভা শুরু হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালামও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। মেয়র প্রার্থী শহীদ বক্তব্য দেওয়ার শুরু করলে সভার কয়েকশ গজ দূরে পর পর তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় নির্বাচনী সভাটি ছত্রভঙ্গ হয়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এলাকাবাসী ছোটাছুটি করেন।
এদিকে খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরিত বোমার কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কারা এসব হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহীদের দাবি কেশরহাট পৌরসভার হদিরাগাছী এলাকাটি জামায়াত বিএনপি প্রভাবিত। তারাই বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার নির্বাচনী পথসভাটি ভণ্ডুল করেছে।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে কেশরহাট পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রভাষক খুশবর রহমান বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী শহীদ নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে বোমা ফাটিয়ে তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। কারণ সুষ্ঠু ভোট হলে সে কোনোভাবেই জিততে পারবে না। আর সাজানো বোমা বিস্ফোরণের মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। যাতে ভোটের মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা থাকতে না পারেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি কেশরহাট পৌরসভায় ভোট হবে।