রাজনীতি ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০১:৩২

মাঠের রাজনীতি উত্তাপ ‌'সংসদে'

বিএনপির পদত্যাগ আর জাতীয় পার্টি বর্জন করলে কী হবে সংসদের?

নিজস্ব প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই উত্তাপ্ত হতে শুরু করেছে জাতীয় সংসদ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মাঠের উত্তপ্ত রাজনীতির প্রভার পড়তে যাচ্ছে সংসদে। বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের হুমকী আর জাতীয় পার্টির সংসদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ রাজনীতির নতুন মোড় সৃষ্টি হয়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক  সর্বমহলে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ আর জাতীয় পার্টির এমপিরা বর্জন করলে এই সংসদের কী হবে? সেই সব আসনে কী আবার উপ-নির্বাচন হবে? নাকি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দ্বাদশ নির্বাচন দিয়ে দেবে ক্ষমতাসীনরা।   

প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজপথে পাল্টাপাল্টি সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে যাওয়া না-যাওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে গত শনিবার। এ দিন রংপুরে গণসমাবেশ কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দাবি একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত। কেবল দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তাঁরা।

এই বক্তব্যের পরদিন গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেটার মানে দাঁড়ায়, বিএনপির সংসদ সদস্য মাত্র সাতজন, তাদের পদত্যাগে খুব একটা সমস্যা হবে না।

ওবায়দুল কাদের এমন বক্তব্যের ১০ ঘণ্টার মাথায় রাত সাড়ে ৮টায় জানা গেল জাতীয় পার্টি আজ সোমবার থেকে সংসদে যাবে না। গতকাল সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এদিন দলটি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি অবশ্য ভিন্ন। দলীয় প্রধান জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সংসদে যাবে না। ২৬ আসন নিয়ে দলটি সংসদের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আছে।

অবশ্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের মনে করেন, জাতীয় পার্টির সংসদ বর্জনের সিদ্ধান্ত বড় কোনো রাজনৈতিক সংকটের কারণ হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ ঝামেলা থেকে সৃষ্ট। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেবে বলে মনে করি।’

এখন রাজপথের আন্দোলনের উত্তাপ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে কি না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির বিষয়টি জানি না। তবে আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। এই আন্দোলন গতিশীল করতে আমাদের যে কয়জন সংসদ সদস্য আছেন, তাঁরা পদত্যাগ করবেন। কারণ আমরা সংসদ বাতিল চাই।’