ডেস্ক রিপোর্ট।।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ছাত্রলীগের আর্থিক দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে মুখোমুখি জাবি ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একে অন্যের নামে তুলেছে অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ঈদুল আযহার আগে শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়া উপাচার্যের সন্তানের মাধ্যমে তাদেরকে জাবিতে ডেকে আনা হয়েছিল।’ গোলাম রাব্বানী সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার ফার্মকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করলেও উপাচার্য তা রাখেননি বলে দাবি তার।
এদিকে ছাত্রলীগ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বক্তব্যকে অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য’ দাবি করা হয়। বিবৃতিতে দাবি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পকে ঘিরে জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা অসত্য ও মিথ্যা।
বিবৃতিতে, গত ৮ আগস্ট জাবি উপাচার্যের বাসভবনের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে একটি বৈঠকের কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী আদেশে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচি ও আলোচনা সম্পর্কে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক অবগত নন বলে দাবি করা হয়।
তবে দুর্নীতির প্রশ্নে শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ করছে কিনা জানতে চাইলে সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘আমরা কাউকে চ্যালেঞ্জ করছি না। রাব্বানী হয়তো না জেনে এই তথ্য দিয়েছেন।’
এদিকে গোলাম রাব্বানীর বক্তব্যকে অস্বীকার করে ‘বরং সে তার বান্ধবী দিয়ে চাঁদার জন্য ফোন দেওয়াতো’ বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গোলাম রাব্বানী চাঁদার জন্য বিভিন্নভাবে বিরক্ত করত। সে বলে আজকাল ২% এ হয় না, ৪-৬% লাগে। তাদের কাছে অনুমতি আছে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার।’
এছাড়া তিনি যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনো ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক টেন্ডার শিডিউলের জন্য তাকে চাপ দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। কিন্তু তাদের দাবি না রাখায় গোলাম রাব্বানী ক্ষোভ ও হতাশা থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেয়ার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিবেন বলে জানা গেছে।


















