রাজনীতি ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:২৮

শোভন-রাব্বানীর তারকাদের মত বিলাশী জীবনের খন্ডচিত্র!

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউনুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে আংশিক কমিটি ঘোষনা হয়েছিলো গতবছর। অন্যান্যদের মতই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও আশাবাদি ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আর্থিক অনিয়ম, চাঁদাবাজি, দলীয় প্রোগ্রামে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়া এইরকম নানাবিধ অভিযোগ মাথায় নিয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে পদ থেকে বিদায় নিতে হয়। এমন কি চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদেরকে আইনের আওতায়ও আনা হতে পারে।

তবে সব কিছু ছাপিয়ে এখন তাদের বিলাশবহুল জীবনই যেন রাজনৈতিক মহলে আলোচ্য বিষয়। একসময় সাধারন জীবনযাপন করা রেজাউনুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী পদ পাওয়ার পরপরই কাটানো শুরু করেন বিলাশী জীবন। হল ছেড়ে তারা থাকা শুরু করেন কাঠালবাগান ও হাতিরপুলের বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে। যেখানে ভাড়া বাবদ গুনতে হয় ৭০ হাজার ও ৪০ হাজার টাকা।

যদিও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির কারো পক্ষে চাকরি বা ব্যাবসা করা সম্ভব নয়। তাই প্রশ্ন থেকে যায় যে তাদের এতো টাকার উৎস কোথা থেকে আসে। 

রাব্বানীর দাবি, হাতিরপুলের ২ হাজার ৬শ’ বর্গফুটের ওই ফ্লাট তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন মাত্র ৪০ হাজার টাকায়। কিন্তু সেই জায়গায় এতো কমদামের মধ্যে ফ্ল্যাট পাওয়া মোটামোটি অসম্ভবই। তিনি এই ভাড়ার বিষয়েও দাবি করেছেন যে, তার ভাই ও বাবা এই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেন। 
 
এছাড়াও গত বছর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরদিন থেকেই রাব্বানী টয়োটা কোম্পানির নোয়া মডেলের একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি কীভাবে এই গাড়ির মালিক হলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাব্বানি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদককে জানান, মাইক্রোবাসের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়নি, কিস্তির টাকা বকেয়া রয়েছে। তবে সেই কিস্তির টাকা তিনি কী করে পরিশোধ করেন, তা জানাতে অনাগ্রহী ছিলেন তিনি।

শোভনেরও এরকম একটি গাড়ি রয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকাকালীন ক্যাম্পাসের কোথাও যেতে হলে এই দুজন অন্য সবার মতোই রিকশা ব্যবহার করতেন কখনো বা পায়ে হেটে যেতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) রাব্বানী গতমাসে ডাকসু ভবনে তার নিজ কক্ষে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগিয়েছেন। এ বিষয়ে তার দাবি, এক শুভাকাঙ্ক্ষী বড় ভাই তাকে উপহার হিসেবে এসি লাগিয়ে দিয়েছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে শোভন সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অনেক নেতাকর্মী নিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেন।