নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে জনগণ চায় না জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দুইটি দল এদেশের শাসন করার কারণে মানুষ যে ভাবে তাদের অধিকার হারিয়েছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়েছে, সেসব কারণে মানুষ তাদের প্রতি ক্ষোভ। মানুষ আর এই দুইটি দলকে চায় না। মানুষ এখন তৃতীয় কোনো দলকে চায়। সেই তৃতীয় দল জাতীয় পাটি। যাদের নয় বছরের একটক সুশাসন আছে। সেই সুশাসনে অবস্থা নিযে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে খুবই দুঃখ ভাবে বলতে হয়। এরশাদ সাহেবে পদত্যাগ করার পর গত ৩২ বছর এদেশে দুইটি দল শাসন করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুইটি দল শাসন করার পরও আজকে নির্বাচন কি ভাবে হবে সে বিষয়ে তারা এখনও একমত হতে পারেন নাই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে যখন আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত, যখন পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে ঠিক সেই সময় খুবই উদ্দেশ্যমুলক ভাবে আমাদের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যে উদ্দেশ্য ছিল সেই উদ্দেশ্য আজকে ৫২ বছর পরেও আমরা মনে করি বাস্তবায়ন হয়নি। যেমন গণতান্ত্রিক যে অধিকার সেই অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।
তিনি বলেন, সম্পদের যে বৈষম্য, সেই বৈষম্য এখনও তীব্র ভাবে আছে। বৈষম্য এখনো দুর হয় নাই। মানুষের যে সাধীকার আছে,এখনো পায় নাই। এখনো মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তির এখন সচল হয় নাই। শুধু তাই নয,
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহুর্তে মানুষের সব চেয়ে বড় যে সমস্যা তা হচ্ছে পাচ কোটি মানুষ বেকার। এই বেকারদের ব্যাপারে বড় দলের কোনো রোড ম্যাপ নাই। আজকে যে শিক্ষায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে আসছে,এটা একটা কর্মবিমুখ শিক্ষা। সেই শিক্ষাটা পরিবর্তন করে কর্মমুখি শিক্ষা চালু করবে সেই চিন্তা নাই। আজকে মানুষ চিকিৎসা করবে, ঢাকা মেডিকেল যান, সোহরাওয়ার্দীতে যান কোনো সিট নাই। মানুষ মানবেতর ভাবে বান্দায় শুয়ে আছে। সরকার কোনো অবস্থায়তেই চিন্তা করে না, প্রত্যকটা উপজেলায় বড় বড় প্রকল্প না করে একেকটি উপজেলায় স্পেশালাইজ হসপিটাল করে মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এসমস্ত কিছু জাতীয় পাটি চিন্তা করে।






















