রাজনীতি ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৪:২৮

বিএনপির ২৭ দফা পুরোটাই ভাঁওতাবাজি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি এসবের (গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) বিচার করবে। এটা একটা ভাঁওতাবাজি। বিএনপির ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমনটা বলেছেন।

যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি এসবের (গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) বিচার করবে। এটা একটা ভাঁওতাবাজি।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিএনপির পক্ষ থেকে টানা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন না করার নিয়ম চালুসহ বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তনে ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়। ২৭ দফার ১৪তম দফায় বলা হয়েছে, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার করা হবে। এ বিষয়ে আজ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এতই সন্ত্রাস যে আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি। বিদেশি (ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত) এ লোক সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানেও তার ওপর বোমাবাজি হয়। এক দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয়। অনেক নামিদামি লোকের ওপর হামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাইনরিটি গ্রুপের বারোটা বেজেছে, তারা আতঙ্কে ছিল। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চিহ্নিত হলো। আর সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের কারণে আমাদের বহু নেতারা মারা গেলেন। তখন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী একটা সভা করলেন। সেখানে গ্রেনেড হামলা হলো। ক্লিন হার্টের গল্প জানেন? ৫৫ জন লোককে মারা হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয় তারা হার্টফেল করে মারা গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য লোককে গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এসব ঘটনা অমানবিক। আবার তারা মানবিকতার কথা বলে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে। বাস কোম্পানিগুলো রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে সরকার কিছু বলেনি। বাস মালিকরা ভয়ে ছিলেন যদি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকজন ভয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করেনি। কারণ বিএনপির কথায় জনগণ বিশ্বাস করে না।  

আমাদের কাগজ//জেডআই