রাজনীতি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:০০

'টাকার কুমির শামীম' এর পদ নিয়ে যুবলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে ধোঁয়াশা

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

জি কে শামীমকে আটকের পর তার সাংগঠনিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাকে যুবলীগের সমবায় সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেয়া হলেও কোনো সংগঠনই তাকে নিজেদের নেতা বলে স্বীকার করেনি।

জি কে শামীম আটক হওয়ার পর যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বরাতে জানান: জি কে শামিম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, জি কে শামিম তার কমিটির কেউ নন। আমরা প্রথমে গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারলাম সে যুবদল থেকে এখন যুবলীগের নেতা। এরপর দেখলাম যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক গণমাধ্যমকে বক্তব্য দিয়েছেন সে যুবলীগের নয় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি! আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গণমাধ্যমে আছে, আপনারা চাইলে দেখতে পারেন, এ নামে আমাদের কমিটিতে কেউ নেই।

এর আগে, দুপুরে নিকেতন ৪ নম্বর রোডের ১১৪ নম্বর ভবনে জিকেবি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড শামীমের বাণিজ্যিক কার্যালয় জি কে শামীমকে ধরতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়, তিনি একই সঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ। এখনও শামীমের অফিস ভবনে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।