নিজস্ব প্রতিবেদক: ৭০ নির্বাচনে বাংলার জনগণ বিপুল ভোটে বঙ্গবন্ধুকে বিজয়ী করে স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র তাকেই দেওয়া হয়েছিল। সেই অধিকার বলে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। ইতিহাস যারা বিকৃত করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা বাংলার ইতিহাস মুছে দিতে চেয়েছে এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে। এখনও সকল ষড়যন্ত্রের প্রধান হোতা বিএনপি।
আজ রোববার (১৯ মার্চ) বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো ছিল না। আজকে অনেকে ইতিহাসের মহানায়কের সঙ্গে ইতিহাসের ফুটনোটের তুলনা করেন। ইতিহাসের ফুটনোট আর ইতিহাসের মহানায়ক এক কথা নয়। আজকে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক আর স্বাধীনতার ঘোষক এক কথা নয়। পাঠক অনেকেই ছিলেন, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, এমএ হান্নান, চট্টগ্রামে তারাও ছিলেন ঘোষণার পাঠক। কিন্তু ঘোষক ছিলেন না। ঘোষনা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো ছিলো না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কেন এতো জনপ্রিয়, বঙ্গবন্ধু সেই স্বল্প আয়ের দেশকে তিনি আজ পরিণত করেছেন উন্নয়নশীল দেশে, সেটাই আজকে শেখ হাসিনার অপরাধ। এতো উন্নয়ন, এতো অর্জন কী করে তিনি করলেন, কী করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিলেন, কী করে একদিনে শত সেতু উদ্বোধন করলেন, নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করলেন, আজকে ঢাকা মেট্টোরেল করলেন, এসব উন্নয়নই শেখ হাসিনার অপরাধ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চায়। বাংলাদেশে আবারও সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদে ফিরিয়ে নিতে চায়। আমাদের আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে শপথ নিতে হবে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে আর ওই মৃত্যুপত্যকায় আর যেতে দেব না। আমাদের মাতৃভূমিকে সাম্প্রদায়িকতার লীলা ভূমি হতে দেব না। আমাদের এই মাতৃভূমিকে অর্থপাচারকারীদের হাতে তুলে দিতে পারি না। আমাদের এই মাতৃভূমিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ণ দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দিতে পারি না। আমাদের এই মাতৃভূমিকে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের হাতে তুলে ফিরিয়ে দিতে পারি না। আমাদের আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আমাদের কাগজ/টিআর
