রাজনীতি ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৪:০৫

দখলবাজিতেও ওস্তাদ যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো সাঈদ

ডেস্ক রিপোর্ট।।

ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগ নেতা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ শুধু ক্যাসিনো ব্যবসাতেই নয়, দখলবাজি আর চাঁদাবাজিতেও সিদ্ধহস্ত  ছিল বলে জানা গিয়েছে। আর চলমান অভিযানের মুখে পালিয়ে গেছেন সিঙ্গাপুরে।

মতিঝিল আরামবাগ রোডের লাগোয়া ৮৯ ও ৮৯/১ নম্বর বাড়ি, যা হাজী ভবন নামেই পরিচিত। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলী একসময় ভবনটি কিনে নিলে, এটি রাজাকার ভবনের পরিচিতি পায়।  একসময় এই ভবনে কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ অফিস খুললেও, কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের পর দখল করে নেন। 

ভবন দেখভালের দায়িত্বে আছেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান উদ্দিন জামাল, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকাশসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা।  

ভবনটির দোতলায় দখলদার নেতাদের অফিস। অভিযোগ রয়েছে, কাউন্সিলর বাহিনীর অবৈধ বাণিজ্যে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে এই ভবনে এনে নির্যাতন করা হয়। ভাড়ার টাকা আদায় করেন, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। 

তিনি বলেন, আমাকে এই ভবনের ভাড়া উঠানোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান ভাই। আমি শুধু ভাড়াটা তুলে সবার বাসায় দিয়ে আসতাম। আমি জানতাম এটি লিজ নেয়া বাড়ি, কিন্তু পরে জানছি কি একটা ঝামেলা আছে এরপর আমি চলে আসছি।

ভবন দখল পাকাপোক্ত করতে দুয়েকটি কক্ষ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেয়া হয় মতিঝিল থানা পুলিশের কয়েক সদস্যকে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর, পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।  

ভবন থেকে মাসে ভাড়া তোলা হয় ৭-৮ লাখ টাকা। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ বিল আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।  

ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ভবনটির সঙ্গে কাউন্সিলর সাঈদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেও, জানান তিনি বেতন নেন কাউন্সিলরের অফিস থেকেই। এছাড়া মতিঝিল-আরামবাগের ফুটপাত ও দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তুলতো কাউন্সিলর সাঈদের বাহিনী। 

বেশিরভাগ বোর্ড সভায় উপস্থিত না থাকা এবং অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করায়, সিটি করপোরেশনের আবেদনে সাঈদকে শোকজ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।