রাজনীতি ৪ মে, ২০২৩ ০৪:৪০

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জাহাঙ্গীরের খেলা নাকি আজমতের চমক 

তানজিলুর রহমান: আলোচনা-সমালোচনাসহ নানা ইস্যুতে গাজীপুর সিটি নির্বাচন এখন রাজনীতির মাঠে হট টপিক। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগে আজমত উল্লা খান ও জাহাঙ্গীর আলমকেন্দ্রিক দুটি বলয় তৈরি হয়ে গেছে।

এর মধ্যে মনোনয়ন আটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। আর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দলের বহিষ্কারাদেশ কাটিয়ে আবারও গাজীপুরের মেয়র হওয়ার আশায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তার আশায় গুড়ে বালি দিয়ে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে তা বাতিল হয়ে গেছে। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আজমত উল্লা খান গাজীপুর নগরের আটটি থানায় দলের নেতা–কর্মীদের নিয়ে সভা করে যাচ্ছেন। এসব সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছেন।

কেন বাতিল হল জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র

জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফোকাল পয়েন্ট (সহায়ক) কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন খান জানান, অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা ওয়াসা শাখা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার নিউ টাউন নিট ওয়্যার কোম্পানি লিমিটেডের একটি ঋণের গ্যারান্টার হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই টাকা পরিশোধ না করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি শাখা ২৯ এপ্রিল এ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের ভাষ্য, কোরিয়ান মালিকানাধীন ওই কম্পোজিট কারখানায় তার কোনো শেয়ার নেই, কোনো লভ্যাংশও তিনি নেন না। তারপরও হাজার হাজার শ্রমিককে বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে তিনি ‘নিজের সম্পদ’ তাদের দিয়েছেন।
“ওই ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়ে সেই কোরিয়ান মালিক লোন নিয়ে কারখানাটি চলমান রেখেছে। এক কথায় আমি সেখানে জামিনদার হই। করোনা মহামারীর কারণে ইতোপূর্বে কোরিয়ান মালিক ব্যাংকে যথাসময়ে ওই পেমেন্ট দিতে পারেনি।

“আমি প্রার্থী হওয়ার পর গত ১১ এপ্রিল ও ১৮ এপ্রিল কোরিয়ানরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের যে পাওনা ছিল তা পরিশোধ করেছে। কোরিয়ান কোম্পনি অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে। সেই সমস্ত কাগজপত্র আইনজীবী এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে।”

জাহাঙ্গীর বলেন, ঋণ খেলাপির যে অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেই কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে । যাচাই-বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণ পরিশোধেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

“তারপরও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছে। কোনো অদৃশ্যের চাপে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেছেন কিনা জানি না। তবে আমি ন্যায়বিচার পেতে আপিল করব। প্রয়োজনে আমি সুপ্রিম কোর্ট– হাই কোর্টে যাব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে চাই।”

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকতা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “মনোনয়ন সঠিকভাবেই যাচাই বাছাই করেছি। জাহাঙ্গীর আলমের অন্যসব কাগজপত্র সঠিক আছে। তবে জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকে টাকা জমা করার কিছু কাগজপত্র আমাদের কাছে দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে তা যথার্থ ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি তথ্যে ত্রুটি থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। তবে প্রার্থীর আপিল করার সুযোগ রয়েছে, তিনি আপিল করতে পারবেন।”

 

বার বার আলোচনায়

জাহাঙ্গীর ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি; পরে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তবে তার নাম আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে, যখন তিনি সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আজমত উল্লার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নমেন।

দলের নির্দেশেও ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি না হওয়ার পর সেবার নিখোঁজ হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। ভোটের ঠিক আগে আগে গাজীপুরে ফিরে কাঁদতে কাঁদতে আজমতকে সমর্থন জানান তিনি। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যালটে তার নাম থেকে যায়।

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও সেই নির্বাচনে আজমত হারেন ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ ভোটে। জাহাঙ্গীর তখন বলেছিলেন, প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করেছে তার দল।

পাঁচ বছর পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাহাঙ্গীরকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে ২ লাখ দুই হাজার ৩৯৯ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। সেই নির্বাচনের পর থেকে রাজধানী লাগোয়া এই জনপদে জাহাঙ্গীরের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছিল। তবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

 

আওয়ামী লীগের একটি অংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে মেয়রের দলীয় সদস্যপদ কেড়ে নেয় আওয়ামী লীগ। তারপর বরখাস্ত হন মেয়র পদ থেকেও। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গত ১ জানুয়ারি তাকে ক্ষমা করার কথা জানিয়ে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ।

সেই ‘ক্ষমা’র শর্ত ভঙ্গ করে দলের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বসেন জাহাঙ্গীর। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাকে গুম করাও হতে পারে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘আস্থা থাকলে’ জাহাঙ্গীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলেই তার বিশ্বাস। আর সেজন্য তিনি ৮ মে পর্যন্ত দেখার কথাও বলেছিলেন।

যে কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মা প্রার্থী

অনেকের আগ্রহ ও কৌতূহল জাহাঙ্গীরের মা কেন মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে। মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কারণেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মা জায়েদা খাতুন লড়বেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। আর যদি জাহাঙ্গীর আলম বৈধতা পান, তাহলে জায়েদা খাতুন সরে দাঁড়াবেন।

জাহাঙ্গীরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, মা জায়েদা খাতুনের পরামর্শে দুটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। পরিবারের ওই সদস্য বলেন, জাহাঙ্গীরকে নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে উৎসাহ জুগিয়েছেন তার মা।

জাহাঙ্গীরের মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীরকে তার মা নির্দেশ দিয়েছেন, তোমার দল তোমাকে ফেলে দিয়েছে, গাজীপুরের সাধারণ মানুষ তোমাকে অন্তরে রেখেছে কিনা সে পরীক্ষা নিতে হবে। এ নগরীর সাধারণ মানুষের জন্য তোমার যে অবদান তা তারা কতটা মনে রেখেছে দেখতে হবে।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, গাজীপুরের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে মোকাবিলা করতেই হবে, এর বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর মেয়র প্রার্থী হলে তার ওপর হামলা-মামলাসহ নানা অন্যায় ঘটনা ঘটতে পারে। সে জন্য মায়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

এ নেতা আরো বলেন, জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারেন মাত্র দু জন। একজন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে ডেকে নিয়ে নিষেধ করলে তিনি সরে দাঁড়াবেন। অন্যজন হলেন, জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন। এর বাইরে জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে সরানোর ক্ষমতা কারো নেই।

‘মা ভক্ত’ জাহাঙ্গীর সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ আরেকজন বলেন, মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর জাহাঙ্গীর বিদেশে চলে যেতে চান। তবে মা জায়েদা খাতুনের নিষেধ শুনে দেশেই থেকে গেছেন তিনি।


আজমতের স্বস্তি 

জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ‘স্বস্তি পেয়েছেন এমনটাই বলছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা।
“আমার দল, সাধারণ মানুষ ও শান্তিকামী মানুষ যেহেতু আমার সঙ্গে রয়েছে, সেজন্য অবশ্যই স্বস্তি আমি পাচ্ছি। নির্বাচনে আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। আমি প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমি সবাইকে নিয়ে স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। আমি এই মেসেজটা দিতে চাই যে কেউ আমাদের শত্রু নয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

বড় দল বিএনপির এ নির্বাচনে না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আজমত বলেন, “বিএনপি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করেনি। সিটি করপোরেশন শুধুমাত্র মেয়র দ্বারা পরিচালিত নয়। এটি পরিচালনা করতে মেয়রের সঙ্গে কাউন্সিলরদেরও প্রয়োজন হয়। আর বিএনপি কাউন্সিলর পদে তাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী নির্বাচন করছেন।

“আমি বলতে চাই, বিএনপি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি, শুধুমাত্র মেয়র নির্বাচন থেকে তারা সরে দাঁড়িয়েছেন। আমি মনে করি এ নির্বাচনে সাধারণ জনগণ লড়াই করছেন।”

জাহাঙ্গীরের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আজমত বলেন, “ঋণখেলাপির বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম একটি সংশোধনী চেয়েছেন। সেটা একসেপ্ট হয়েছে কি-না তা জানি না। ব্যাংকের প্রতিনিধিও বলেছে, তাদের বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেই বোর্ড বিষয়টি ডিসাইড করবে। এটা আমাদের কোনো ব্যাপার নয়। নির্বাচন কমিশনের যে আইন রয়েছে, বিধি রয়েছে, সেই বিধির আলোকে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।

“তবে জাহাঙ্গীর আলম আইনের মধ্য দিয়ে যদি প্রার্থিতা ফিরে পায়, আমি তাকে মোস্ট ওয়েলকাম জানাব।”

জাহাঙ্গীরের মায়ের প্রার্থিতা পাওয়া প্রসঙ্গে নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, আমি এখনো বিশ্বাস করি মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সেটা নিশ্চয়ই ওনারা জানাবেন।


গাজীপুর মহানগর তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার শিকদার বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কার হওয়ার পর ফের দলে ফিরে আসার পর আমরা ভেবেছিলাম তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাবেন, কিন্তু তিনি তা পাননি। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী ও প্রতীকের পক্ষে আমাদের কাজ করতে হবে। নিজ নিজ এলাকায় আমাদের একটা অবস্থান রয়েছে। সেই অবস্থান ধরে রাখতে হলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

নেতা–কর্মীদের কোনো বিভেদ নেই উল্লেখ করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে, কিন্তু বর্তমানে সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই।’

এ প্রসঙ্গে গাজীপুর থেকে নির্বাচিত এক সংসদ সদস্য বলেন, জাহাঙ্গীর যেহেতু দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেননি, মেয়র পদে ভোটে লড়তে চান, ফলে জলঘোলা না করাই ভালো হবে। তাতে ভোটে বিরূপ প্রভাব পড়বে, নৌকার ভোট কমবে। সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হলো জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।

ভোট ঘিরে গাজীপুরে ‘জাহাঙ্গীর খেলা’ শুরু হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলছিলেন, সবকিছু ২০১৩ সালের মডেল অনুসরণ করে চলছে। এর সঙ্গে আগেও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা জড়িত ছিলেন, এখনো তারাই জড়িত। ফলে উত্তাপ সৃষ্টি করার মতো কোনো কাজ না করাই ভালো হবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, কেউ দলীয় শৃঙ্খলা না মানলে নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মানা হবে।
জানতে চাইলে সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ফারুক খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ার সময় আছে, সে পর্যন্ত দেখা যাক।

 

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর